১ কিলোমিটার পাকা সড়ক হলে দূভোর্গে থেকে বাঁচবে শতাধিক পরিবার

82

নানিয়ারচর প্রতিনিধিঃ-বুড়িঘাটের মাছকম্পানি হাসপাতাল রোডে রাস্তার উন্নয়ন ছাড়াই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। রাস্তা না হওয়াতে স্থানীয়দের কোনও কাজে আসছে না এই সেতু।
সরেজমিনে দেখা যায়, বুড়িঘাটের মাছকম্পানি গ্রামে সংযোগস্থলে ছোট কালভার্ট সেতু করা হলেও রাস্তার উন্নয়ন করা হয়নি। এই গ্রামের মানুষের চলাচলের রাস্তা নেই। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সেতুটি করা হয়।
মাছকম্পানি গ্রামের সোহেল বলেন, মানুষের চলাচলের জন্য সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। ফলে সেতু থাকলেও রাস্তা না থাকায় চলাচল করতে পারছে না এলাকাবাসী, তাই দাবি করছি ইটসলিং রাস্তা করতে।
স্থায়ী গ্রামের বাসিন্দা মনির বলেন, বুড়িঘাট মাছকম্পানি গ্রামের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু রাস্তা নির্মাণ না করেই সেতু করা হয়েছে। এ জন্য মানুষের কাজে আসছে না। মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত ইট সলিং রাস্তা নির্মাণের দাবি জানান।
একই গ্রামের বাসিন্দা আউয়াল বলেন, কালভার্ট সেতু হলেও ভাল রাস্তা না থাকায় গ্রামের মানুষ অন্য গ্রামে যেতে পারছে না। মেঠো রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচল করছেন এখন। একটা রাস্তা নির্মাণ করলে এ গ্রামের মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থার পরিবর্তন হতো। তবে রাস্তা নির্মাণ না হওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত রোগী ও ছাত্র/ছাত্রীদের চলাচলের অনেক অসুবিধা হচ্ছে।
ইউপি সদস্যমোস্তফা খান বলেন, ওই স্থানে সেতু নির্মাণের কারণ হলো ঐ গ্রামের মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য। সেতু হওয়ায় এলাকার মানুষের উপকার হয়েছে। এখন রাস্তা হলেই যাতায়াত করতে পারবে। ইট সলিং রাস্তা হলে মোটরবাইক অথবা সিএনজি যোগাযোগ স্থাপন হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের নানিয়ারচর উপজেলাপ্রকৌশলী প্রনব রায় বলেন, ওখানে সেতু নির্মাণের বিষয়টি আমার জানা আছে। তবে আমাদের কাঁচা কোনও সড়ক নেই।
নানিয়ারচর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন র্কমর্কতা বলেন, স্থানীয় এলাকাবাসীর জোরালো দাবির পরিপ্রক্ষিতে সেখানে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েেছ। এখন শুধু রাস্তা বাকি। আমাদের হাতে কিছু করার নেই। তবে জেলা পরিষদ বা উন্নয়ন বোর্ড চাইলে পদক্ষেপ নিতে পারে।