শিশুদের অধিকার ও প্রতিভার বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে-অংসুইপ্রু চৌধুরী

76

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-“নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে মানসম্মত শিক্ষা” প্রতিপাদ্যে মীনা দিবস-২০২২ উদযাপন উপলক্ষ্যে র‌্যালি, আলোচনা সভা, গল্প বলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে র‌্যালি শুরু করে শহরের প্রধান প্রদান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পিটিআই সুপারেন্টেন্ড মো. রুহুল আমিন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক বুলবুল, সিনিয়র সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পরিনয় চাকমা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার দীপিকা খীসা, ইউ আর সি ইন্সটাক্টর হালিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, শিশুদের প্রতিভা বিকাশ, অধিকার প্রতিষ্ঠা ও তাদেরকে প্রস্ফুটিত করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে নিউইয়র্কে আছেন, তিনি জাতিসংঘ অধিবেশনে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি গুরুত্ব সহকারে বলেছেন শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শিশুদের অধিকার যদি প্রতিষ্ঠিত না হয়, প্রতিভার বিকাশ করা না ঘটে, তাহলে তাদের আগামী দিনের যোগ্য নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে তুলতে পারা যাবেনা। তাই শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আনন্দের মাধ্যমে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে এবং তাদের অধিকার ও প্রতিভার বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন- মীনা একটি উচ্ছ্বল, প্রাণবন্ত ও সাহসী মেয়ের নাম। মীনা কার্টুন চরিত্রে মীনার বয়স নয় বছর। এই কার্টুন এর আরও দুটি চরিত্রের নাম মিনার ভাই রাজু আর পোষা পাখি মিঠু। লিঙ্গ বৈষম্য রোধ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সচতেনতা ও শিশু নিরাপত্তার গুরুত্ব নিয়ে মিনা কার্টুনের গল্পগুলো তৈরি করা হয়। যৌতুককে না বলা, বাল্য বিয়েকে না বলা, ছেলে ও মেয়ে সন্তানকে সমান গুরুত্ব দেয়া, সমান অধিকার পেলে মেয়েরাও অনেক কিছু করতে পারে, এইচাইভি আক্রান্ত মানুষকে আলাদা চোখে না দেখা, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করা, বন্যার সময় করণীয় কাজ, মেয়েদর নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখা, শিশুর ডায়েরিয়া হলে করণীয়, শহরে গৃহকর্মীদের ওপর নির্যাতন রোধ ও শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্যেও এ কার্টুন প্রচারিত হয়। আর এসব কার্টুন দেখে ছোট ছোট বাচ্ছারা অনেক কিছু শিখতে পারে, নিজেদের সচেতন করতে পারে।
আলোচনা সভার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও অংশগ্রহণকারী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।