প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সকল সম্প্রদায়ের মানুষের শান্তির জন্য নিরলস ভাবে কাজ করছে-উবাচ মারমা

57

মোঃ আজগর আলী খাঁন/হারাধন কর্মকার রাজস্থলীঃ-বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশ। তার মধ্যে রাজস্থলী উপজেলা একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির অনন্য উদাহারণ সৃষ্টি বলে মন্তব্য করেছেন রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে বসবাসরত সকল সম্প্রদায়ের মানুষের শান্তির জন্য নিরলস ভাবে কাজ করছে। এখানে হিন্দু মুসলিম, বৌদ্ধ খ্রীষ্টান সবাই মিলেমিশে একাকার। আমরা সবাই ভাই ভাই, আমরা সবাই একসাথে চলি, একসাথে খাই, একসাথে উৎসব পালন করি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির এই উদাহারণ দেশময় ও বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ুক এটাই প্রত্যাশা করি।
সোমবার (১৯সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত রাখা, ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সহিংসতা এবং সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, কর্মকর্তা-কমচারী, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সমন্বয়ে রাজস্থলী উপজেলায় ‘সামাজিক-সম্প্রীতি’ কমিটির উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ হলরুমে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অংনুচিং মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উসচিন মারমা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রুইলাঅং মারমা, কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুব আলম রনি, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন, ওসি তদন্ত সামশু উদ্দিন, মৎস্য কর্মকর্তা ছাবেদুল হক, রাজস্থলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ উপানন্দ দাস, ঘিলাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবার্ট ত্রিপুরা, গাইন্দ্যা ইউপি চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা, বাঙ্গালহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লংবতি ত্রিপুরা, প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আজগর আলীসহ সমাবেশ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান, বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী, রাজনৈতিক, সামাজিক সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রধান, ছাত্র ছাত্রী, বিভিন্ন ধর্মীয়গুরু মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ গন উপস্থিত ছিলেন।
রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা আরো বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হলো নানা সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যকার সম্প্রীতি ও ভালোবাসা। আমাদের সমাজে বহু ধর্ম, ভাষা ও জাতির লোক বসবাস করে। সমাজে বসবাসরত সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পরস্পর ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার মনোভাব হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। মানব সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিগন এ জীবনে যথাযথভাবে এগুলো অনুশীলন করে থাকবেন। ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। ভাতৃত্ববোধ মানুষকে ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত করে, মানুষের মধ্যে সহযোগিতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি গুণের বিকাশ ঘটায়। এর ফলে মানব সমাজের ঐক্য শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হয় অন্যদিকে ভাতৃত্ববোধ না থাকলে মানুষ একে অন্যকে ভালবাসে না। অন্যের কল্যাণ কামনা করে না। স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য অন্যের প্রতি অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। তারা আসলে মানুষের চরিত্র বহন করে না। তিনি ধর্মীয় সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিহত করতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর আহবান জানান।