বিলাইছড়ি নীলাদ্রি রিসোর্টঃ হাতছানি দিয়ে ডাকছে পর্যটকদের

145

ঝুলন দত্ত, কাপ্তাইঃ-প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা। পাহাড়, নদী, লেক এবং অনেকগুলো ছড়া প্রবাহিত হয়েছে এই উপজেলার কোল জুড়ে। এক কথায় প্রকৃতি যেন, আপন মাধুরিতে সাজিয়েছে এই উপজেলাকে। পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে এখানে। বিশেষ করে পড়ন্ত বিকেলে কাপ্তাই লেকের মনোরম সৌন্দর্য দেখে যে কেউ হারিয়ে যেতে পারে কল্পনার রাজ্যে। এখানে বসে সূর্যোদয় এর অপরুপ দৃশ্য এবং বর্নিল আকাশে অস্তমিত সুর্য্যের নিদারুণ ক্যানভাস দেখার সুযোগ রয়েছে। এই উপজেলায় রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য ঝর্না।
তার মধ্যে ধুপপানি ঝর্না যেন প্রকৃতি এক অপরুপ সৃষ্টি। এই ছাড়া মুপ্পোছড়া ঝর্না, ন- কাটা ছড়া ঝর্না, গাছকাটা ঝর্না দেখতে শত শত পর্যটক ভীড় করে এখানে। তবে রাত্রি যাপনের জন্য এখানে ভালো কোন ব্যবস্থা ছিলো না এতেদিন। তাই বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার পারভেজ চৌধুরীর উদ্যোগে এবং এলাকার জন প্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় গত আগস্ট মাসে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন হিলটপে গড়ে তোলা হয়েছে নীলাদ্রি রিসোর্ট ও শিশু পার্ক। এছাড়া রিসোর্ট সংলগ্ন উপজেলা ক্যাফেতে আগত পর্যটকদের জন্য ঘরোয়া পরিবেশে উন্নত মানের খাবারের সু- ব্যবস্তা রয়েছে।
নীলাদ্রি রিসোর্টে রয়েছে ৫টি উন্নত মানের কটেজ। কটেজ গুলোর নাম করণ করা হয়েছে উপজেলায় অবস্হিত ঝর্না এবং নদীর নামকরন অনুযায়ী। রিসোর্টে প্রবেশের মুখে ঝুলন্ত ব্রিজ এবং রিসোর্ট এর কেন্দ্রে পাহাড়ের ঘাঁ ঘেঁষে তৈরী করা হয়েছে মাচাং। যেখানে বসে দূর পাহাড়ের মেঘের ছটা, পূর্নিমার আলো অবলোকন করতে পারছেন পর্যটকরা। এছাড়া রোদ বৃষ্টির ছোঁয়ায় বর্নালী রামধনু দেখতে পাওয়া যায় এখানে বসে।
বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান জানান, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে আগত পর্যটকদের থাকার সু-ব্যবস্থার মাধ্যমে এই উপজেলাকে ব্র্যান্ডিং করা, এলাকার জনসাধারণের বিনোদনের ব্যবস্থা করা এবং সার্বিক ভাবে এলাকার আত্মসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার অংশ হিসাবে নীলাদ্রি রিসোর্ট ও শিশু পার্ক নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। তিনি আরোও জানান, ইতিমধ্যে এখানে শত শত পর্যটক এসে রাত্রি যাপন করছেন।
বিলাইছড়ি উপজেলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এই এলাকার অধিবাসী বিপ্লব বড়ুয়া বাপ্পি জানান, বিলাইছড়ি উপজেলার প্রানকেন্দ্রে এই রিসোর্ট এবং শিশু পার্ক নির্মানের ফলে প্রতিদিন বিকেল বেলা এলাকার শিশুরা মুক্ত বাতাসে বেড়াতে চিত্ত বিনোদনের সুযোগ পারছে।
এই রিসোর্টে রাত্রি যাপন করতে আসা চট্টগ্রাম হতে আগত শাহাদাত-রোমেনা দম্পতি জানান, পরিবার পরিজন নিয়ে এই উপজেলায় ভ্রমণ করে এই রিসোর্টে রাত্রিযাপন করেছি। প্রকৃতি মাঝে ২/১ দিন সময় কাটানোর জন্য এই রিসোর্ট একটি আর্দশ স্থান।