বাঘাইছড়িতে ১৫ কিলোমিটার নতুন সীমান্ত সড়ক তৈরি করছে সেনাবাহিনী

65

বাঘাইছড়ি প্রতিনিধিঃ-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দেয়ার পরিকল্পনার একটি বড় অংশ হিসেবে রাঙ্গামাটির দূর্গম বাঘাইছড়ি উপজেলার আর্যপুর থেকে সীমান্তবর্তী মাঝি পাড়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার নতুন সীমান্ত সড়ক তৈরি করছে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রিয়াসত সড়ক নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন।
এসময় বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আক্তার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাগরিকা চাকমা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মামুনসহ স্থানীয় পাহাড়ি ও বাঙালি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই সীমান্ত সড়কটির কাজ সম্পূর্ণ হলে কচুছড়ি, নবছড়া, হালিমপুর, মাঝি পাড়াসহ ৮ থেকে ১০টি এলাকা উপজেলার মূল ভুখন্ডের সাথে যুক্ত হবে। আর এসব এলাকার উৎপাদিত কৃষি পণ্য অল্প সময়ের মধ্যে বাজারজাত করতে পারবে। এতে করে এলাকার অর্থনৈতিক যেমন উন্নয়ন সাধিত হবে তেমনী শিক্ষা ও চিকিৎসা খাতেরও ব্যাপক উন্নতি হবে।
আর্যপুর এলাকার পাড়া প্রধান বিরশিং চাকমা বলেন, এই সড়কটি আমাদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিলো যা বাস্তবায়ন হচ্ছে। সড়কটির কাজ শেষ হলে আমরা আম, আনারস, আদা, হলুদ বাজারজাত করতে পারবো। ফলে এই এলাকার অর্থনৈতিক রূপ পাল্টে যাবে।
সেনাবাহিনীর ২০ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল রিয়াসত বলেন, সড়কটি আর্যপুর হয়ে কচুছড়ি পর্যন্ত যাবে। সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। কচুছড়ি থেকে সড়কটি মাঝি পাড়া হয়ে ভবিষ্যতে হালিমপুর, উদয়পুর সাজেকের সাথে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে এই অঞ্চলে উৎপাদিত ফসল আম, কাঁঠাল, আদা, হলুদ পঁচে নষ্ট হয়ে যায়। কারণ সড়ক পথ নেই। এই সড়কটি সম্পূর্ণ হলে স্থানীয়দের উৎপাদিত ফসল সরাসরি উপজেলা সদরে এনে বিক্রি করা যাবে। ফলে স্থানীয়দের আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।