মুরুং সম্প্রদায় সেনাবাহিনীর সাথে পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের নির্মূলে নানাভাবে ভূমিকা রাখছে-লে. কর্নেল মনজুরুল হাসান, পিএসসি

110

হাসান মাহমুদ, আলীকদমঃ-পার্বত্য বান্দরবানের আলীকদমে মুরুং সম্মেলন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল দশ ঘটিকায় আলীকদম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মুরুং জনগোষ্ঠীর নারী পুরুষ এবং ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
মুরুং সম্মেলন ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মনজুরুল হাসান, পিএসসি।
এসময় তিনি বলেন, মুরুং সম্প্রদায় সেনাবাহিনীদের সাথে একসাথে থেকে পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের নির্মূলে নানাভাবে ভূমিকা রাখছে। তারা মুরুং বাহিনী গঠন করে পাহাড় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মুখোমুখি হয়ে পাহাড়ের শান্তি বজায় রাখছে। সেনাবাহিনী ম্রো জনগোষ্টি ও তাদের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। মুরুং সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা হোষ্টেল তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও চিকিৎসেবা এবং ম্রো জনগোষ্টির জিবনমান উন্নয়নে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। ইতোমধ্যে কিছু বিপথগামী ম্রো সশস্ত্র লোকদের স্বাভাবিক জিবনে ফিরিয়ে এনে তাদের কর্মসংস্থান তৈরি করে নিরাপদ জীবন দিয়েছে। আপনার পরবর্তী প্রজন্ম শিক্ষিত হলে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে জীবিকার নতুন রাস্তা তৈরি হবে। সেনাবাহিনী আপনাদের পাশে পরিবারের সদস্যের মত আছে, থাকবে।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রায় সাড়ে ১৫ শত বর্গ কিলোমিটার এলাকায় কোন সন্ত্রাসীর স্থান নেই। সন্ত্রাসীরা কখনও আপনাদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনেনি। আনতে পারবে না। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুজব ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজেদের স্বার্থে আপনাদের ব্যবহার করে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কাউকে শিক্ষিত হতে সহায়তা করেনি বরং চেয়েছে পাহাড়ে বসবাসকারীরা নিরক্ষর থাকুক এবং তাদের কথা মত চলুক। সেনাবাহিনী নিজেদের জীবন দিয়ে আপনাদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস দমনে কাজ করে যাচ্ছে। একবিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না সন্ত্রাসীদের।
আলীকদম প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক হাসান মাহমুদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লে.কর্ণেল সাব্বির হাসান, জোন কমান্ডার, ৩১ বীর, আলীকদম। আলীকদম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম। লামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুস্তাফা কামাল, লামা পৌর মেয়র জহির উদ্দিনসহ আলীকদম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানবৃন্দ।
এসময় মুরুং সম্মেলন ও মতবিনিময় সভায় মুরুং জনগোষ্টির মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান করা হয়। এছাড়াও মুরুং ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল বেগ ও শিক্ষা সমগ্রী বিতরণ করা হয়।