নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-রাঙ্গামাটিতে বৃষ্টি এবং করোনা ভাইরাসের ৪র্থ ধাপ মোকাবেলায় মসজিদে মসজিদে এবার যথাযথ ধমীয় ভাবগাম্ভির্য ও আনন্দঘন পরিবেশে রবিবার (১০ জুলাই) পবিত্র ঈদুল আযহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মুসলিম উম্মাহর অন্যতম বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব এটি।
রাঙ্গামাটির ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টা ও ৯টায় তবলছড়ি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মসজিদ। এছাড়া সকাল পৌনে ৮টায় বনরূপা জামে মসজিদ, সকাল ৮টায় কালেক্টর জামে মসজিদ ও সকাল ৮টায় রিজার্ভ বাজার জামে মসজিদেসহ রাঙ্গামাটির বিভিন্ন জুমা মসজিদ ও উপজেলার মসজিদ গুলোতে অনুষ্ঠিত হয় পবিত্র ঈদের জামাত।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক তবলছড়ি কেন্দ্রীয় ঈদ গাঁ মাঠে ঈদের জামাতে অংশ নেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। এছাড়া রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান মহসিন রোমান সহ রাঙ্গামাটির গন্যমান্য মুসল্লীগণ বিভিন্ন মসজিদে ঈদের নামাজ আয় করেন। মসজিদ গুলোতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানেটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পরে পশু কোরবানীর মধ্যে দিয়ে মহান সৃষ্টি কর্তা আল্লাহর সন্তুষী লাভের আশায় গরু, ছাগল, মহিস কোরবানী করেন। কোরবানীর মাংস বিভিন্ন দরিদ্রদের ভাগ দেন এবং আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে নিয়ে যেতে দেখা হেছে। এছাড়া ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে একে অন্যের বাড়ীতে গিয়ে কোরবানীর খেতে দেখা গেছে।
এদিকে বৈশ্বিক উচ্চ পর্যায়ের করোনা সংক্রামন ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে দীর্ঘ দুই বছর পর এবছর পরিবারের সকলের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করেছেন রাঙ্গামাটিবাসী। দেশের বিভিন্ন স্থানের কর্মজীবীরা এবছর ঈদ উদযাপনের যার যার পরিবারের কাছে আসতে পারায় আনন্দঘণ পরিবেশে পাহাড়ী জনপদ যেন প্রাণ ফিরে পাওয়ায় জনকোলাহলে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে ঈদের জামাত শেষে শ্রেণি বৈষম্য ভুলে একে অপরের সাথে আলিঙ্গন, সালাম ও কুশল বিনিময় করায় সকলের মধ্যে একটি সম্প্রীতিপূর্ণ সহাবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। দীর্ঘ দুই বছর করোনার কারণে পরিবারের সকলে মিলে সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে মিল রেখে এ বছর একত্রে ঈদ করতে পাড়ায় খুশির জোয়ার বয়ে গেছে পাহাড়ে।
উল্লেখ্য, ঈদুল আজহা মূলত ত্যাগ ও বিসর্জনের বার্তা নিয়ে আসে। এদিন পশু জবাইয়ের মাধ্যমে ত্যাগের একটি প্রতীকী প্রকাশ ঘটানো হয়। এর মাধ্যমে মনের পশুত্বকে বিসর্জন দিয়ে নিজেকে নৈতিক ও আত্মিকভাবে পরিশীলিত করা হয়। তাই কোরবানি যেন লোক-দেখানো উৎসব না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে তাগিদ করা হয়েছে কোরআন ও হাদিসে।