খাগড়াছড়ির দীঘিনালয় কুঁড়ে ঘরেই দিন কাটছে অসহায় মুক্তিযোদ্ধা; পাবে কি একটি সরকারি পাঁকা বাড়ি?

95

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ-দুধ বিক্রি করেই জীবন চালাতেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা নম্বর ০১৪৬০০০০০৭০ মো: গিয়াস উদ্দিন। বয়স সত্তরের কোটায়। এখন আর সেই ব্যবসাও করতে পারেন না। এক প্রকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতায় পরিবারের ঔষধ খরচ করে বাকি যা থাকে তা দিয়েই চলে তার সংসার। এ বয়সে বেশ কষ্ট করেই দিনযাপন করতে হয় তাকে। তাঁর আপন ভাই অছিম উদ্দিন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাও চলে গেছেন পরপারে। কষ্টের দিনগুলো বলতে গিয়ে গিয়াস উদ্দিন বলেন- ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ের সংসার তার। মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন আর ছেলেরা বিয়ে করে আলাদা বসবাস করেন। এক প্রকার স্ত্রীসহ অসহায় জীবন যাপন করছেন তিনি।
তরুন বয়সে বড় ভাই সহ মুক্তিযোদ্ধায় নাম লেখান গিয়াস উদ্দিন। ট্রেনিং শেষে ৫নং সেক্টরের আওতাধীন সিলেটের জাফলং এলাকায় অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেন। প্রবল যুদ্ধে বোমার আঘাতের চিহ্ন আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন। এখনও মাঝে মাঝে মাথায় সমস্যা দেখা দেয়। সে সময় টাকার অভাবে তেমন চিকিৎসা করাতে পারেননি। যা আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন।
দেশ স্বাধীনের পরে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন কিন্তু হানাদারেরা বসত বাড়িটিও পুড়িয়ে দিয়েছে। যার কারণে সেখানে আর বসবাস করা সম্ভব না হওয়ায় ১৯৮০-৮১ সালে চলে আসেন খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলাধীন পশ্চিম বেতছড়ি এলাকায়। তখন থেকে সেখানেই বসবাস করছেন। শরীরে শক্তি ছিল সংসার চালিয়েছেন। এখন আর শরীর চলে না। স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করেন একটি কুঁড়ে ঘরে। তিনি একবার আপসোস করে বলেন… শেষ বয়সে পাব কি একটি সরকারি পাঁকা বাড়ি?
এ বিষয়ে দীঘিনালা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এনাম সওদাগর বলেন- দীঘিনালায় মোট মুক্তিযোদ্ধা ৪২জন। এর মধ্যে অনেক আগে মুক্তিযোদ্ধা সেলিম একটি সরকারি ঘর পেয়েছে। এর পরে আর কেউ ঘর পায়নি। তবে লিষ্ট পাঠানো হয়েছে। সরকার বরাদ্দ দিলে অন্যরা ঘর পাবে।