থানচি রেমাক্রী ইউনিয়নের বড় মদকে ১টি মিনি হাসপাতাল, প্রতিটি পাড়ায় ১টি করে মোট ৩০টি গভীর নলকুপ স্থাপনের উদ্যোগ

64

থানচি প্রতিনিধিঃ-বান্দরবানের থানচি উপজেলায় ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রনে রেমাক্রী ইউনিয়নের বড় মদক য়ংলং পাড়া বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০ শয্যা বিশিষ্ট ফিল্ড হাসপাতালে চলছে চিকিৎসা সেবা। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে, স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যবস্থাপনায় গত বৃহস্পতিবার এই হাসপাতাল চালু করা হয়।
উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নের ৭টি ম্রো পাড়ার মানুষ হঠাৎ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে আক্রান্তদের সুস্থ না হওয়ার পর্যন্ত এই হাসপাতাল পরিচালনার কথা জানিয়েছে বান্দরবানের সিভিল সার্জন নিহার রজ্ঞন নন্দী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ৭-১৬ জুন পর্যন্ত ১০ দিনে মোট ১০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আক্রান্তদের বিজিবি ও স্বাস্থ্য বিভাগ চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ডায়রিয়ায় নতুন করে আক্রান্ত নেই। আক্রান্ত ৫০-৬০ জনের মধ্যে ১০ জন মারা গেছে, ১০ জন সুস্থ হয়েছে। আক্রান্তদের সর্ম্পুণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।
স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ জানান, রেমাক্রী ইউনিয়নের বড় মদক এর দুর্গম আন্দারমানিকের ডায়রিয়া প্রাদুর্ভাব এক সপ্তাহ ব্যবধানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, ডায়রিয়া মৃতদের মধ্যে রেমাক্রী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে বড় মদক সীমান্তের মেনতাং পাড়া বাসিন্দা ও পাড়ার প্রধান মেনতাং কারবাড়ী (৪৮), ক্রাইঅং ম্রো (১৮), লংথাং পাড়া বাসিন্দা লংপিং ম্রো (৫০), ঙারেসা পাড়া বাসিন্দা প্রেনময় ম্রো (১২), সংদক ম্রো (২২), সংওয়ো ম্রো (৩৫), রুংরাক ম্রো (৫০), প্রেলি ম্রো (৩৬), মংঞোচাই মারমা (২২)।
থানচিতে শুকনো মৌসুমে জুম কাটা এবং জুমের ঘাস মারার জন্য বিষাক্ত কীটনাষক ব্যবহার, স্যানিটেশন না থাকায়, জোপ জঙ্গলে মলমূত্র ফেলাসহ অপরিস্কার অপরিছন্ন ছিল। সে ময়লা অবর্জনা সামান্য বৃষ্টিতে নদী ঝিড়িতে ছড়াতে পরে। ঐ ছড়া ও নদীর পানির ব্যবহারের ফলে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছে স্থানীয়রা।
থানচি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ আরও বলেন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে রেমাক্রী ইউনিয়নের বড় মদকে ১টি মিনি হাসপাতাল, প্রতিটি পাড়ায় ১টি করে মোট ৩০ টি গভীর নলকুপ (ডিপওয়েল) স্থাপন ও হাসপাতালে একজন এমবিবিএস চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় জনবল ঔষধ সরবরাহ করা হবে।