দীঘিনালায় মেয়েদের সম্পত্তির ভাগ দিবোনা, পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে সোহরাফ হোসেন

92

মোঃ সোহেল রানা, দীঘিনালাঃ-খাগড়াছড়ির দীঘিনালার চংড়াছড়ি এলাকায় সৎ মায়ের কুপরামর্শে পিতা কর্তৃক চার কন্যাকে নির্যাতন, হয়রানি, মামলা ও ঘর থেকে বের করে দেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার (১১ মে) সংবাদ সম্মেলন করে চার কন্যা।
এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১২ মে) দীঘিনালা বাস টার্মিনাল সংলগ্ন হোটেল ইউনিটি কনফারেন্স হল রুমে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে অভিযুক্তকারী পিতা সোহরাফ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনান তার দ্বিতীয় সংসারের পুত্র ইস্তিয়াজ হাসান তামিম। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সোহরাফ হোসেন বলেন, আমার প্রথম সংসারের ছোট তিন মেয়ে বড় মেয়ে ও জামাতার কুপরামর্শে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে৷ আমি তাদের সন্তান হিসেবে স্বীকার করলেও আমার জীবদ্দশায় আমার সয় সম্পত্তির ভাগ কোন সন্তানকেই দিবোনা৷
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার বড়মেয়ে মারুফা আক্তারের স্বামী ফজলুল করিমকে বিভিন্ন সময়ে ব্যবসা করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা প্রদান করি। একপর্যায়ে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিলে সে তার স্ত্রীসহ আমার বাকি তিন মেয়েকে সাথে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও নানা প্রকার নির্যাতন শুরু করে৷ আমার মেঝো মেয়ে খাদিজা আক্তারকে কয়েকবছর পূর্বে ভূইয়াছড়ির আমজাদ হোসেন’র সাথে বিয়ে দেই। কিন্তু বড়মেয়ে মারুফা আক্তার ও জামাতা ফজলুল করিমের প্ররোচনায় আমার সে তার স্বামীকে মারধর করে ডিভোর্স দেয়। এতে আমি সামাজিক ভাবে লাঞ্চিত হই। তাছাড়া মারধর নয় আমার ৩নং মেয়ে জেসমিন আক্তার স্বাভাবিক ভাবেই রোগে আক্রান্ত হয়ে পিঠের একটি রগ শুকিয়ে যায়। এতে তার একহাত চিকন হয়ে যায়। আমি গতকাল অনুষ্ঠিত মিথ্যা সংবাদন সম্মেলনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।