হারাধন কর্মকার রাজস্থলীঃ-রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার ৩নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের শফিপুর ২নং ওয়ার্ডের প্রায় ২ কিলোমিটার আরসিসি সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত বেহাল দশায়। সড়কটি যান ও জন চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। টানা কয়েক বছর সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সড়কের মধ্যভাগে বেশ কয়েকটি স্থানে ভেবে গেছে ও রাস্তার দুই সাইডের মাটি ধসে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। যেকোনো সময় প্রাণহাণিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি দফতরে সড়কটি সংস্করের জন্য আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি বলে জানা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই লিখেছেন এ সড়ক নিয়ে, সেখানে ফুটে উঠেছে হতাশা ও ক্ষোভ।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাংবাদিক সুমন জানান, শফিপুর ২নং ওয়ার্ডের রাস্তাটি দিয়ে দৈনিক শত শত পরিবারের যাতায়াতে বিশেষ করে চেয়ারম্যান টিলা, সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে স্থানে স্থানে ভেঙে গিয়ে এত বেশি পরিমাণ ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। একটি ছোট গাড়ি ও চলাচল করে ঝুঁকি নিয়ে। তারপরও সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে পাড়ার লোকজন, সিএনজি, আটোরিক্সা, মোটারসাইকেল। এ সড়ক দিয়েই বিভিন্ন স্কুল কলেজ, মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষ ইউনিয়ন ও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, অসুস্থ ও বয়স্ক লোকজনের যাতায়াত অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
শফিপুর ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ কামাল হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৩ সনে রাস্তাটি জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে আরসিসির করে রাস্তা নির্মাণ করেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। যে টি বর্তমান সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি সাবেক প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে উদ্ধোধন করেন। রাস্তাটি দিয়ে বালির ট্রাক চলাচল করায় মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান। এই রাস্তা দিয়ে তিনটি পাড়ার ২৩০টি পরিবারের লোকজন উপজেলা সহ ইউনিয়নে এবং বাঙ্গালহালিয়া বাজারে দৈনিক চলাচল করেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে প্রতিদিন ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে মানুষ প্রতিনিয়িত দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। অবিলম্বে শফিপুর- চেয়ারম্যান টিলা রাস্তা সংস্কার করে দিতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদোমং মারমা বলেন, শফিপুর-চেয়াম্যানটিলা সড়ক এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। ভাঙা রাস্তার ফলে এলাবাবাসী চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। যদি রাস্তাটি সংস্কার করা হয় তবে এই এলাকার মানুষের চলাচলে ব্যাপক উন্নতি হবে। তবে আমি সদ্য পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আর পরিষদের সল্প বরাদ্দ দিয়ে এতো বড় রাস্তা সংস্কার করা সম্ভব নয় বলে জানান। আগামী অর্থবছরের মধ্যে রাঙ্গামাটি জেলার সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি মহোদয়ের সুপারিশ নিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করা উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে জানান।