২৫ বছরেও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি-সন্তু লারমা

72

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-পাহাড়ে জুম্ম জাতি গোষ্ঠির নিরাপদ জীবন ও সংস্কৃতি কৃষ্টি রক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও ২৫ বছরেও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি। নানাবিধ প্রতিকুল পরিবেশে পার্বত্য অঞ্চলের জুম্ম জাতিগোষ্ঠিকে অসস্থিকর জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।
তিনি রবিবার (১০ এপ্রিল) সকালে রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ী আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিহু, বিষু ও সাংক্রান উৎসবে র‌্যালী পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে পাহাড়ী আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিহু, বিষু ও সাংক্রান উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রতিকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী। অন্যান্যদের মধ্যে, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ঝর্ণা খীসা, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পঞ্চানন ভট্টাচার্য্যসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ সন্তু লারমা আরো বলেন, পাহাড়ের বসবাসরত ১৫টি জাতিগোষ্ঠির মানুষ তাদের নিজস্ব ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি নিয়ে স্বাচ্ছান্দে জীবন ধারণ করতে চায়। কিন্তু পার্বত্য চুক্তির অনেক বিষয় বাস্তবায়ন করা হলেও চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো এখনো পর্যন্ত অবাস্তবায়িত হয়ে আছে। এতে করে আদিবাসী মানুষ বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিহু-সাংক্রান ভালভাবে ও নিরাপদে উদযাপন করতে পারছে না। যে আশা-আকাঙ্খা নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল আজো সেই আকাঙ্খা পূরণ না হওয়ায় জুম্ম জনগণের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। তাই সরকার খুব দ্রুত চুক্তির গুরুত্বপূর্ন মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহনসহ এই উৎসবের মধ্যদিয়ে পুরাতন বছরের সমস্ত গ্লানিকে ভূলে গিয়ে নতুন বছরের নতুন উদ্যোমে এবং সম্পদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে দেশকে আরো উন্নয়নের এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
এর আগে পৌর প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের সুচনা করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী।
পরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে, চাকমা, ত্রিপুরা, মারমা, তংচঙ্গ্যা, পাংখোয়া, অহমিয়া, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠিসহ সম্প্রদায়ের নারী পুরুষের অংশগ্রহনে পৌর প্রাঙ্গণ থেকে বের করা হয় বর্ণাঢ্য র‌্যালী। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রদক্ষিণ করে শিল্পকলা একাডেমীতে গিয়ে শেষ হয়।