করোনার পাশাপাশি রাঙ্গামাটিতে ঠান্ডাজনিত কারণে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

139

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-রাঙ্গামাটিতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি হঠাৎই বেড়েছে ভাইরাসজনিত রোগের প্রকোপ। আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও বয়স্ক রোগী। পাহাড়ে প্রচন্ড শীত পড়ায় শিশু ও বয়স্করাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। হাসপাতালের সিটের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। আর বুধবার (২৬ জানুয়ারী) রাঙ্গামাটি পিসিআর ল্যাব ও এন্টেজিনায় ১৫৮জন নমুনা পরীক্ষা করেছেন এরমধ্যে ৬৬জনের পজেটিভ এসেছে। নমুনা পরীক্ষা অনুসারে সনাক্তের হার ৪৭.৭৭% পার্সেন্ট।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে করোনা সংক্রমনের পাশাপাশি গত এক সপ্তাহ ধরে ভাইরাসজনিত রোগীর চাপ বেড়েছে। জ্বর, সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। জেনারেল ওয়ার্ডে অতিরিক্ত রোগীর কারণে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। তাই হাসপাতালের মেঝেতেই দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
এদিকে শিশুরা হঠাৎ করে ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন অভিভাবকরা। তবে বেশিরভাগ শিশুই ৩/৪ দিন চিকিৎসা নেয়ার পরই অবস্থার কিছুটা উন্নতি হচ্ছে বলে চিকিৎসকরা জানান।
এছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে অনেকে। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা অধিকাংশই শীতজনিত নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। বিপুলসংখ্যক রোগীর সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের।
অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হয়ে শিশুদের প্রতি আরও যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শওকত আকবর বলেন, ‘সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে আমরা সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছি। শিশু ওয়ার্ডে চাপটা একটু বেশি। যেখানে আগে গড়ে ১৫/২০ জন শিশু ভর্তি থাকতো, এখন সেখানে ৪০-৫০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। এটা আসলে প্রতি বছরই শীত মৌসুমে হয়। ঋতু পরির্বতনজনিত ফ্লুর কারণে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।’