রাজস্থলীতে শীতকালীন সবজির বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠে কৃষকের স্বপ্ন

96

মোঃ আজগর আলী খান, রাজস্থলীঃ-রাঙ্গাামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠে কৃষকের স্বপ্ন। মাঠ জুরে এখন শোভা পাচ্ছে শীতকালীন নানা ধরনের সবজির সমারহ। সবজি চাষে বদলে গেছে উপজেলার কাপ্তাই নদীর পারের দৃশ্যপট। সবুজ পাহাড় ঘেড়া যে কোন মানুষের নজর কাড়ছে। কৃষকের রাত দিন পরিশ্রমে ছোট ছোট চারা গুলো বেড়ে উঠেছে। ধরছে ফসল। কৃষকের হাসির ঝিলিক প্রস্ফুটিত হচ্ছে ফলন ভালো হওয়ায়। সবুজ পাহাড় অরণ্য ভূমি থেকে একটু বেরুলেই দৃষ্টিতে পড়ে পাহাড়ী বাঙালীর গ্রামের কৃষকের স্বপ্ন বোনা ফসলের মাঠ। প্রাণ এবং মন জুড়িয়ে যায় কৃষকের আদর যত্নে গড়ে তোলা সবজি ক্ষেত দেখে। ভোরের হালকা কুয়াশা ভেদ করে পূর্ব দিকে সূর্য উঠার আগমূহর্তে কৃষকেরা হ্নদয়ের টানে ছুটে আসেন তাদের উৎপাদিত জমিতে। নিজেদের শরীরের সব টুকু শক্তি বিসর্জন দিয়ে মনের গভীরে পোষা ভালবাসা সিক্ত করে তোলে বাঁধা কপি, ফুলকপি, বেগুন, টমেটো, ঢেরস, মুলা, সীম, আলু বিভিন্ন জাতের সবজি। পরিশ্রমে ক্ষেতে পানি দেওয়া আগাছা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা কীটনাশক প্রয়োগসহ সবজি ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
রাজস্থলীর তিনটি ইউনিয়নের দিগন্তজুড়ে এখন সবজির সমারোহ, আর কৃষকের মনের সবুজ স্বপ্ন দোল দিয়েছে। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন রাজস্থলীর উপজেলার কয়েক শত পাহাড়ী, বাঙালী কৃষক। এ উপজেলার ৩ টি ইউনিয়নে সব জায়গায় কম বেশী সবজি চাষ করা হয়েছে।
রাজস্থলী উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলা জুড়ে বহুল অনাবাদী জমিকে আবাদ করে শীতকালীন সবজি ক্ষেতের চাষ করা হয়েছে। বর্তমান বাজার মুল্য বেগুন, প্রতি কেজি ৫০ টাকা, বাঁধা কপি, ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া, বড় ৫০ ছোট, ৪০/৩০ টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি, ৫০ টাকা, পড়াস সীমের বিচি, প্রতি কেজি, ২০০ টাকা।
হাজি পাড়া গ্রামের কৃষক কামাল উদ্দিন জানান, নিজের জমিতে, ফুলকপি, বাঁধা কপি, লাউ, টমেটো, দেশীয় আলু,মরিচ ও বেগুনের চাষ করেছি। তবে তিনি বলেন, এবার চাষাবাদে ১ হতে দেড় লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। দাম ভাল থাকায় দ্বিগুন লাভ হবে বলে আশাবাদি তিনি। বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ নেন বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মবর্তা, মাহবুব আলম রনি বলেন, এ পার্বত্য রাজস্থলী উপজেলার মাটি ও পরিবেশ কৃষকদের অনূকুলে রয়েছে। রাজস্থলীর বিভিন্ন এলাকায় বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করার জন্য উপজেলার কৃষি বিভাগ থেকে সবজি ক্ষেতের পোকা-মাকড় দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে সেক্সপেরোমন ও হলুদ ফাঁদ পদ্ধতি প্রতিনিয়ত ব্যবহার করা হচ্ছে।