বাঙ্গালীর চুড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে ঘটে মর্মান্তিক এই হত্যাযজ্ঞ-পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি

121

রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবানঃ-যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে বান্দরবানে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে সকালে সূর্য উদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বান্দরবানের বাসস্ট্যান্ডের মুক্তিযোদ্ধা শহিদ স্মৃতিফলকে ফুল দিয়ে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া বুদ্ধিজীবী ও মহান শহিদদের প্রতি সম্মান জানানো হয়।
এসময় বান্দরবান জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভা, সদর উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ উপস্থিত হয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধাঞ্জলী প্রদান করেন।
পরে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা। এসময় জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এসময় পুলিশ সুপার জেরিন আখতার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.শেখ ছাদেক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা, বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বান্দরবানের বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নৃশংসতম ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ডে নিহত শহিদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা শহিদ পরিবারের এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ নিহত সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনাসহ দেশবাসীর শান্তি সমৃদ্ধি কামনায় এক বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, আজ ১৪ই ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে পরিকল্পনা করে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বাঙ্গালীর চুড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে ঘটে এক মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞ। তারা বেছে বেছে অসংখ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের হত্যা করে।
পার্বত্য মন্ত্রী আরো বলেন, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশনা ও মদদে এক শ্রেণীর দালাল এই হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করে। পাকবাহিনীর অস্ত্র সহায়তা নিয়ে তাদেরই ছত্রচ্ছায়ায় আধাসামরিক বাহিনী আলবদরের ক্যাডাররা এই বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করে। পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙ্গালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী।
এছাড়াও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটিকে উদযাপন করছে বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো।