ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এর প্রভাবে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে দিনভর মাঝারি বৃষ্টিপাত, মানুষের ভোগান্তি

205

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে রবিবার রাত থেকেই হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এদিকে শীতের পাশাপাশি বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। শহরের রাস্তাঘাট বৃষ্টির কারণে প্রায় স্থানে প্রায়ই ফাঁকা।
রাতের বৃষ্টির পাশাপাশি দিনের বেলায় ও বৃষ্টি হওয়ায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ও কাজকর্ম ব্যাহত হয়েছে। বিশেষ করে সড়কে যাত্রী সংখ্যা কম থাকায় সিএনজি, রিকশা চালক, ভ্যান চালক, ইজি বাইক চালকরা যাত্রীর অভাবে দুশ্চিন্তায় পড়েছে।
রাঙ্গামাটির সিএনজি চালকরা জানান, গতকাল রাত থেকে হালকা ও মাঝারী বৃষ্টিপাতের কারণে মানুষ ঘর থেকে বেড় কম হচ্ছে। এতে করে আমাদের আয়-রোজগারও কম হচ্ছে। রাস্তায় চলতে গিয়ে মাঝে মধ্যে ২/১জনকে পেলেও তেলের খরচ যোগাতে হিমশীম খেতে হচ্ছে।
বান্দরবান জেলা সদরের রিকশা চালক আমিন বলেন, অসময়ে বৃষ্টি হচ্ছে তারপরে ও সকাল সকাল ঘর থেকে বের হয়েছি সারাদিনের ভাততো জুটাতে হবে, না হয় পরিবার পরিজন কি খাবে। আমিন আরো বলেন, রোদ বৃষ্টি, ঝড়-তুফান নিয়ে আমাদের সংসার, যত কিছুই হোক না কেন আমাদের সড়কে নেমে ভাড়া যোগাড় করে আয় করতে হয়, না হয় খিদা পেটে অভুক্ত থাকতে হয়।
এদিকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে হাটবাজারে বেচাবিক্রি কমে গেছে, দোকানীরা দোকান খুললেও নেই পর্যাপ্ত ক্রেতা। বেশিরভাগ সড়কে বৃষ্টির পানিতে কাঁদা হওয়ায় চলাচলেও ভোগান্তী পোহাচ্ছে সাধারণ জনগণ। অসময়ে বৃষ্টির কারণে জেলা সদরের পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্নস্থানে কাঁচা সড়কগুলোতে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে আর এতে সড়কে চলাচলরত যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
অন্যদিকে খাগড়াছড়িতেও গতকাল রাত থেকে হালকা ও মাঝারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে করে খেতে খাওয়া লোকজনকে পড়তে হচ্ছে বিপাকে। কিছু সংখ্যা রিক্সাচালক বৃষ্টিকে মাথায় রেখে যাত্রীদের গন্তব্য স্থানে পৌছে দিতে দেখা গেছে। তবে রাস্তায় মানুষের সংখ্যা খুবই কম দেখা গেছে। সকাল থেকে বৃষ্টিপাতের কারণে দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে মানুষের জীবন যাত্রা।
অন্যদিকে বৃষ্টিপাত এভাবে টানা কয়েক দিন চলতে থাকলে কৃষি জমিতে পানি জমে শাক সবজির বাগানসহ বিভিন্ন কৃষি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
এদিকে বান্দরবানের মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনিষ্টিটিউট এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো.মাহবুবুল ইসলাম জানান, রবিবার থেকে ৬ডিসেম্বর (সোমবার) সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ঘন্টায় বান্দরবানে ১৩ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।