খাগড়াছড়িতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা জাতীয় পদকপ্রাপ্ত লেখক ও গবেষক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরাকে সংবর্ধনা

146

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ-খাগড়াছড়িতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা জাতীয় পদকপ্রাপ্ত লেখক ও গবেষক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৩নভেম্বর) বিকালে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে স্থানীয় এনজিও সংস্থা (জাবারাং, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা, কেএমকেএস, আলো)’র উদ্যোগে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তার সহধর্মিণী কৃতিকা ত্রিপুরা, তার মেয়ে রাংবাতাং ত্রিপুরা দ্যুতি, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তার প্রিয় শিক্ষক গোবিন্দ ত্রিপুরা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রিয় শিক্ষক নেপোলিয়ন চাকমাকেও মঞ্চে ডেকে সংবর্ধিত করা হয় আয়োজকরা।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘আলো’ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মুকুল কান্তি চাকমার সঞ্চালনায় সংবর্ধনা আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিপন চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক সাংসদ যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, প্রাক্তন অধ্যক্ষ ড. সুধীন কুমার চাকমা, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নলেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত শোভা রানী ত্রিপুরা, বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত প্রভাংশু ত্রিপুরা, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) খাগড়াছড়ি’র সভাপতি বোধিসত্ত্ব দেওয়ান, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সুদর্শন দত্ত, খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক শ্রীলা তালুকদার। এসময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক শেফালিকা ত্রিপুরা।
এসময় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য খগেশ্বর ত্রিপুরা, প্রাক্তন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাধন কুমার চাকমা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জীতেন চাকমা, জাবারাং কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা, বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটি সাধারণ সম্পাদক অনন্ত কুমার ত্রিপুরা, জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরী, উদ্যোক্তা ও নারী নেত্রী শাপলা দেবী ত্রিপুরা, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরামের সভাপতি নয়ন ত্রিপুরাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে আসা এই গুণী ব্যক্তি আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের গর্ব, তথা পুরো বাংলাদেশের গর্ব। আদিবাসী সমাজের জন্য গর্ব। মথুরার লেখায়, গবেষণায় এবং জ্ঞানচর্চা থেকে তরুণ প্রজন্মরা অনুপ্রেরণা পাবে।
সংবর্ধিত মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, আমি লেখক হওয়ার জন্য লেখালেখি করেনি, উন্নয়ন কর্মী হিসেবে লেখালেখি করতে গিয়ে লেখক হিসেবে সম্মান পেয়েছি। এ অর্জন আমার একার নই। এ গৌরব ও অর্জন সবার। তিনি আরো বলেন, ভাষা সংরক্ষণের দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, আমাদের সকলের দায়িত্ব। সকল ভাষায় সরকারের ভাষা শিক্ষা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি আমাদেরকেও উদ্যোগ নিয়ে ভাষা সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের ভাষা, জাতিকেকে ভালোবাসতে হবে, অন্যের ভাষার প্রতিও সম্মান করতে হবে। আগামীর প্রজন্মরাও লেখায় ও গবেষণার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে সাহিত্য জগতে নিজেকে উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।