লামা প্রতিনিধিঃ-নির্বাচন ১১ নভেম্বর। তাই সদস্য পদে (মেম্বার) বিজয়ী হতে হত্যা মামলার এক আসামী বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারনায় ব্যস্ত আব্দুর রহিমের (৪৫) এক প্রার্থী। গত ১৩ অক্টোবর লামা থানায় মেম্বার প্রার্থী আব্দুর রহিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলা রুজু হয়। হত্যা মামলা রুজুর পর পুলিশ আব্দুর রহিমসহ অপরাপর আসামীদের ধরতে বেশ করেকবার অভিযানও পরিচালনা করে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মামলার বাদী মোঃ শাহরিয়া বলেন, যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে গত১১অক্টোবর আমার ছোট বোন নূরেন রিয়ান তাজ প্রিয়া অপিকে হত্যা করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় আসামিরা। পরে এ ঘটনায় গত ১৩অক্টোবর লামা থানায় আমি (মোঃ শাহরিয়া) বাদী হয়ে মোঃ মিরাজকে প্রধান আসামী করে আব্দুর রহিমসহ মোট পাঁচজনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী২০০৩) এর ১১(ক)/৩ ধারায় একটি হত্যা মামলা রুজু করি। মামলার পর থেকে আসামীগণ স্বাভাবিক চলাফেরা করে এলাকায় অবস্থান করে আসছে। এ ছাড়া চলমান ইউপি নির্বাচনে মামলার ২নং আসামী আব্দুর রহিম (৪৫) বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে নির্বাচন করছে। সে প্রকাশ্যে প্রতিনিয়ত নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইউপি নির্বিচনে অংশ নেওয়া হত্যা মামলার আসামী আব্দুর রহিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমিও আমার ছেলেসহ পরিবারের পাঁচজন সদস্যদের বিরোদ্ধে লামা থানায় রুজু হওয়া হত্যা মামলায় গত ৩১অক্টোবর হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এসেছি। ১১নভেম্বর ইউপি নিবার্চনে ফাঁসিয়াখালী ইউপির ৫নং ওয়ার্ড থেকে আমি নির্বাচন করছি। তাই এখন নিবার্চন প্রচারনা কার্যক্রমে ব্যস্ত।
এ ব্যাপারে লামা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ রমিজ জুম্মা বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর আসামীদের ধরতে বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচারনা করা হয়েছে। তবে আসামীদের হাইকোর্ট থেকে জামিন হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসামীদের জামিন হওয়ার কোন পেপার্স থানায় আসেনি। এ ছাড়া আসামীদের পক্ষ থেকেও জামিনের কোন কাগজ জমা দেয়নি। এ সময় তিনি বলেন, পোষ্ট মর্টেম রিপোর্ট কক্সবাজার মেডিকেল থেকে এখনো থানায় পৌঁছেনি।