নাইক্ষ্যংছড়িতে ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রচারণার আওতায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত

106

শামীম ইকবাল চৌধুরী, নাইক্ষ্যংছড়িঃ-নাইক্ষ্যংছড়িতে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক প্রচারনার আওতায় আন্তঃধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় নাইক্ষ্যংছড়ি অধীনস্থ জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর সম্মেলন কক্ষে গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন (গ্রাউস) ও অন্যন কল্যান সংগঠন (একেএস) এর উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ ফরিদুল আলম।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে যে সম্প্রীতি আছে সেটা বিশ্বে অনুসরণযোগ্য। কিন্তু এরপরও কিছু ঘটনা এখানে ঘটে। এটা মূলত ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব যার ফলে সম্প্রীতিতে ফাটল এবং অজ্ঞানতা থেকে হয়।
বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে বলছে, কাউকে বাদ দিয়ে অর্থাৎ কোনো মানুষকে বাদ রেখে সম্প্রীতি হতে পারে না, সেটা যে ধর্মের বা যে জাতিগোষ্ঠীর হবে হোক। সম্প্রীতি তৈরি করতে হবে মানুষে-মানুষে, নির্দিষ্ট কোনো ধর্মে নয়।’
আর এদিকে, আন্তঃধর্মীয় সংলাপে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা বলেছেন, প্রত্যেক ধর্ম সম্প্রীতির কথা বলে, কিন্তু কিছু মানুষ ধর্মের মূলসুর কি সেটাই বোঝে না। ভুল চিন্তা থেকে তারা ভাবে, তার নিজের ধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম। এই চিন্তা একটি উগ্রবাদী চিন্তা। এই উগ্রবাদী চিন্তা থেকেই তারা অন্য ধর্মের লোকের ওপর আক্রমণ করে। দেশে বিভিন্ন সময় দুর্বল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপর যেসব আক্রমণ হয়, তা এই উগ্রবাদী চিন্তার ফল।
এসময় উপজেলা বীর মুক্তিযুদ্ধা বাবু মংশৈ প্রু মার্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও একেএস সংগঠনের কার্যনির্বাহী মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মিসেস হামিদা চৌধুরী, সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মুহাম্মদ আরেফ উল্লাহ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেস ক্লাব সভাপতি ও একেএস সংগঠনের উপদেষ্টা শামীম ইকবাল চৌধুরীসহ উপজেলার মুসলিম, সনাতন, বৌদ্ধ, ধর্মীয় প্রতিনিধিরা।
মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, সদর ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ইউপি সদস্যা মিসেস রাশেদা বেগম, দৌছড়ি ইউনিয়নের তরগু মৌজার হেডম্যান ও একেএস সংগঠনের সদস্য মংনু মার্মা, মরকাজুল দারুছুন্না ইসলামিয়া মদরাসা ও এতিম খানার পরিচালক মাওলানা জালাল উদ্দীন ফারুকী, শ্রী শ্রী হরি মন্দিরের উপদেষ্টা ও গীতা শিক্ষক বাবু লিটন দত্ত, নাইক্ষ্যংছড়ি ভাবনা কেন্দ্রের ভান্তে প্রজ্ঞা আয্য ভিক্ষুক, নাইক্ষ্যংছড়ি এসে,এ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মানস মাহাজন প্রমূূূখ।