কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শারদীয়া দূর্গোৎসবের সমাপ্তি

97

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে রাঙ্গামাটিতে শেষ হয়েছে সনাতনী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গোৎসব। ভক্তকুলকে কাঁদিয়ে মর্ত্যে থেকে প্রস্থান করলেন জগতের দূর্গতিনাশিনী দেবী দূর্গা। করোনা পরিস্থিতির কারনে সরকারি নিদের্শনায় এবং রাঙ্গামাটি জেলা উদযাপন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্ব স্ব মন্দিরে এলাকায় কাপ্তাই হ্রদে প্রতিমা বিসর্জ্জন এর মধ্যদিয়ে মা দুর্গাকে বিদায় জানায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকালে শহরের প্রতিটি পুজা মন্ডপে মন্ডপে বিজয়া দশমীর অঞ্জলী প্রদানের মধ্যদিয়ে মা দুর্গার কাছে বিশ^বাসীর করোনা মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেন ভক্তবৃন্দরা। বিকালে রাঙ্গামাটি বিভিন্ন মন্দিরে সনাতনী নারীরা সংসারের মঙ্গল কামনায় মায়ের পায়ে সিঁদুর দেন। পরে নারীরা সিঁদুর খেলায় মেতে উঠে। সকল আনুষ্টানিকতা শেষে সকলে পূস্পাঞ্জলীর মধ্যদিয়ে মাকে বিদায় জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
পরে বিকেলে ঢোলের তালে তালে ও ধুপ বাতি জ্বালিয়ে কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন জায়গায় একে একে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। এ সময় উলু ধ্বনিতে মুখোরিত হয় বিসর্জন এলাকা। আর এর মধ্যদিয়ে শেষ হয় পাঁচ দিন ব্যাপী শারদীয় দূর্গোৎসব। এবার রাঙ্গামাটিতে ৪১টি মন্ডপে দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) মহা নবমীর শেষ দিনে রাঙ্গামাটির পূজা মন্ডপগুলোতে ছিলো দর্শনার্থীদের ভীড়। করোনা ভয়ে স্বাস্থ্য বিধি মেনে রাঙ্গামাটির পূজা মন্ডপগুলোতে দর্শনার্থীরা মায়ের দর্শন করতে দেখা গেছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রাঙ্গামাটি জেলা শাখার পক্ষ থেকে বিজয়া দশমী উপলক্ষে রাঙ্গামাটিবাসীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন রাঙ্গামাটির বিভিন্ন পূজা মন্ডপগুলো পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তারা বিভিন্ন পূজা মন্ডপের প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেন এবং পুজোর সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।