ঝুলন দত্ত, কাপ্তাইঃ-“শিশিরে শিশিরে শারদে পাতে, ভোরের আলো ফুঁটে। প্রতিবছর আশ্বিন এলে শুরু হয়ে যায়, সনাতনি সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গাপুজার প্রস্তুতি। গত ৬ অক্টোবর মহালয়ার মাধ্যমে দেবীর আগমনী বার্তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১১ অক্টোবর মহা যষ্ঠীর মাধ্যমে দেবীকে আহ্বান করবেন ভক্তরা। ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা নিরজনের মাধ্যমে ৫ দিনব্যাপী এই পুজা শেষ হবে।
তবে মহামারি করোনার প্রকোপে গত বছরে সীমিত পরিসরে দুর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হলেও এই বছর করোনা সংক্রমনের হার কমে আসায় পুরোদমে পুজার প্রস্তুতি শুরু করেছেন সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন। কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। মন্দিরে সাজসজ্জার কাছও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কমিটির সদস্যরা।
কাপ্তাই উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য জানান, এই বছর কাপ্তাইয়ে ৭টি পুজা মন্ডপে দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। মন্ডপগুলো হলো, কাপ্তাই লগগেইট জয়কালী মন্দির, রাইখালী ত্রিপুরা সুন্দরী কালি মন্দির, কেপিএম কয়লার ডিপু প্রকল্প হরি মন্দির, চন্দ্রঘোনা মিশন এলাকা আদি নারায়ণ বৈদান্তিক বিদ্যালয়র ও সিদ্বিশ্বরি কালি মন্দির, শিলছড়ি দূর্গা মন্দির এবং কাপ্তাই প্রজেক্ট ব্রিকফিল্ড দূর্গা মন্দির।
কাপ্তাই উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ ধর পিন্টু জানান, গত বছর করোনার প্রকোপে কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলি নদীতে বিজয়া নৌ শোভাযাত্রা করা সম্ভব হয় নাই। তবে আমরা এই বছর বিজয়া দশমীর দিন কর্ণফুলী নদীতে নৌ শোভাযাত্রা করে প্রতিমা বিসর্জ্জন দিবো।
চন্দ্রঘোনা আদিনারায়ন বৈদান্তিক বিদ্যালয় পুজা মন্ডপের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অভিজিৎ দাশ কিষাণ জানান, মন্দিরে আদলে তৈরী করা হয়েছে তাদের পুজা মন্ডপকে।
ঐতিহ্যবাহি শতবর্ষী রাইখালী ত্রিপুরা সুন্দরী কালি বাড়ির সভাপতি মিলন কান্তি দে, সম্পাদক টিটু দেব জানান, ইতিমধ্যে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে।