সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়িঃ-শীতকে আগাম জানান দিতে পাহাড়ে লেগেছে শীতের ছোঁয়া। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল হতে না হতে ঘুম থেকে ওঠে চারিদিকে দেখা যায় কুয়াশা আর কুয়াশা। নদীতে এপাড় থেকে ওপাড়ে বা একূল থেকে ঐকূল ঘন কুয়াশার জন্য কিছুই দেখা যায়নি।
কথায় বলে-ভাদ্র পনের শীতের জন্ম। বর্তমানে আশ্বিন মাস ১০ তারিখ হলেও আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ও সাগরে ঘন ঘন লঘুচাপ এবং নিম্ন চাপের কারণে শীতকাল আসতে আর-ও সময় লাগবে।
তবে ঋতু হিসেবে হিসাব করলে এখনো শরৎকাল। রয়েছে আরও হেমন্তকাল, এরপরে শীতকাল। কিন্তু পাহাড়ে তার আগেই শুরু হয়েছে শীতের আগমনী ছোঁয়া।
এলাকার বয়স বৃদ্ধদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আগের দিনে আকাশের দিকে তাকালে বুঝা এটা গ্রীষ্মকাল, বর্ষাকাল, নাকি শীত কাল। এখন ঋতু পরিবর্তনের ফলে আর বুঝা যায়না এটা কোন কাল।
বাংলাদেশে জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ বা সমভাবাপন্ন এবং জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট হলো মৌসুমী বায়ু। ভৌগলিক ভাবে বাংলাদেশে ক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলে অন্তর্গত। বাংলাদেশে বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২৬.০১ সেলসিয়াস। তাই এই দেশ একটি দূর্যোগ-প্রবণ দেশ। ঘন ঘন বজ্রপাত, বন্যা, খরা, হিম ও বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে এইসব অঞ্চলে।
শরৎকালে একদিকে বর্ষাকে বিদায় জানাতে হঠাৎ কলো মেঘে বজ্র বৃষ্টিপাত হয় অন্যদিকে হেমন্ত ও শীতকে স্বাগত জানাতে কোন কোন সময় সকালে কুয়াশায় ঢাকা থাকে, ভোরে শীত শীত ভাব অনূভুত হয়।
ভাদ্র-আশ্বিন মাস মিলে শরৎ বাংলার ষড়ঋতুর তৃতীয় ঋতু। শরৎকালকে ইংরেজিতে “অটাম” বলা হলেও উত্তর আমেরিকায় একে “ফল” ডাকা হয়।পৃথিবীর ৪ টি প্রধান ঋতুর একটি হচ্ছে শরৎকাল। শরৎকালে রাতে আকাশের চন্দ্র ও তারা দেখতে যেমনটি বেশি উজ্জ্বল ও সুন্দর দেখায় তেমনি দিনের বেলাতেও শুভ্র মেঘ আকাশের নিচে ভেসে বেড়ায় আর কাশফুলগুলো বাতাসে দোল খেয়ে জানান দেয় এখন শরৎকাল।
উত্তর গোলার্ধে সেপ্টেম্বর মাসে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে মার্চ মাসে শরৎকাল হয়ে থাকে গ্রীষ্মকাল ও শীতকালে মধ্যবর্তী ঋতু হিসেবে আগমন করে। এসময় রাত তাড়াতাড়ি আসে এবং আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে থাকে। ফলে ভোরে শীত শীত ভাব অনূভুত হয়। এসময়ে অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পত্রঝরা বৃক্ষের পাতা ঝড়ে যাওয়া।