পর্যটকবাহী জীপে গুলির ঘটনায় কে এস মংসহ ২৩জনকে আসামী করে মামলা

87

বান্দরবান প্রতিনিধিঃ-বান্দরবানে পর্যটকবাহী জীপে সন্ত্রাসীদের গুলি বর্ষণের ঘটনায় ২৩জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী থানার গাইদ্যা ইউনিয়নের য়চিং খই (৩৩) নামে এক ব্যক্তি বান্দরবান সদর থানায় এসে এই মামলা দায়ের করে।
মামলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য বান্দরবান সদরের মধ্যম পাড়ার বাসিন্দা কে এস মং মার্মা (৬০) কে প্রধান আসামী করা হয়। মামলায় রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী থানার কিনাধন তংচঙ্গ্যা এর পুত্র গর্জন ত্রিপুরাকে ২নং আসামী, রাঙ্গামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার মংনুচিং মারমা (৫০)কে ৩নং আসামীসহ বান্দরবান সদর, রোয়াংছড়ি, রাজবিলা এবং রাঙ্গামাটিসহ সর্বমোট ২৩জনকে আসামী করা হয়।
মামলার বাদী য়চিং খই জানান, গত ১৭সেপ্টেম্বর আমাদের একটি পর্যটকের দল বান্দরবানের রুমা উপজেলা ঘুরতে যাই। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর ভ্রমন শেষে আমরা বান্দরবান থেকে রাজস্থলী ফেরার পথে বান্দরবানের ২নং কুহালং ইউনিয়নের গলাচিপায় এলাকায় পৌঁছালে আসামীরা আমাদের গতিরোধ করে হত্যার উদ্যোশে আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে।
মামলার বাদী য়চিং খই আরো জানান, গুলির ঘটনায় আমাদের জীপগাড়ীর চাকা ফুটে যায় এবং গাড়ীতে থাকা ৬জন পর্যটক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। পরে গুলিবিদ্ধ আহতদের বাঙ্গালহালিয়া বাজারে বিভিন্ন ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। মামলার বাদী য়চিং খই আরো জানান, এই ঘটনায় গাড়ীর বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বান্দরবান সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, পর্যটকদের গাড়ীতে গুলির ঘটনায় ২৩জনকে আসামী করে ১৪৩/৩৪১/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৪২৭/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ অনুযায়ী বান্দরবান সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পরপরই আইনানুগ কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে।