লামায় কিশোরীকে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় আসামীদের পাল্টা মামলা

93

লামা প্রতিনিধিঃ-লামায় অপহরণের পর ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনার মামলায় ক্ষুব্দ হয়ে আসামীদের পাল্টা মামলার ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে ভিকটিম পরিবার। এ ঘটনায় ভিটিমের বাবা মোঃ ফেরদৌস বাদী হয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বান্দরবান আদালতে তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে যাদের আসামী করা হয়েছে, মোঃ ইয়াসিন (২৩) পিতা- মোঃ আমান উল্লাহ, মোঃ বেলাল (৩০) পিতা- ফেরদৌস ও মনছুর আলম (৩০) পিতা- আব্দুল হামিদ সর্ব সাং বনফুর, ৯নং ওয়ার্ড, ২৮৪নং ইয়ায়ছা মৌজা, লামা বান্দরবান।
মামলার এজার সূত্রে জানা গেছে, এজাহারে উল্ল্যেখিত আসামীসহ অন্যান্য আসামীগণ গত ১৮ জুলাই ভিকটিমের বাড়িতে ঘুকে ভিকটিমকে মুখ বেঁধে পাহাড়ী পথ দিয়ে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে পরিহিত কাপড় খুলে ফেলে এবং ধর্ষনের চেষ্টা করলে এই ভিকটিম সজোরে চিৎকার করলে বড়ছন খোলা গ্রামের সৈকত: আক্তার, সাইফুল ইসলাম, আক্তার মিয়া আসামীগণের কবল থেকে ভিকটিম শাবনুর আক্তারকে উদ্ধার করে। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগকারী স্থানীয় গণ্যমান্য ও ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করলে ১নং আসামী মোঃ ইয়াসিন আরও ক্ষিপ্ত হয়।
এদিকে মামলার প্রধান আসামী আসামী মোঃ ইয়াসিন ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে স্থানীয় ৫নং ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম আসামীগণকে পুলিশে সোর্পদ না করে স্থানীয় ভাবে জোরপূর্বক বেআইনী ভাবে মুচলেকা ও অঙ্গীকারনামা সম্পাদন পূর্বক ভিকটিমকে ১নং আসামী মোঃ ইয়াসিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার শর্তে মোঃ ইয়াসিনকে ছেড়ে দেন।
অন্যদিকে একই ঘটনায় বিবাদীরা ভিকটিমকেসহ তার পরিবারের ৭জনকে আসামী করে গত ১৪ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত লামা’য় মোঃ ইয়াছিনের বাবা আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এবিষয়ে মামলার বিবাদী মোঃ ইয়াসিন ও তার আমিনুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা কোন বক্তব্য দিবেনা বলে জানান।
ভিকটিমের বাবা মোঃ ফেরদৌস জানান, আমার ১২ বছরের মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনা ভিন্নখ্যানে প্রবাহিত করার জন্য মোঃ ইয়াছিনের বাবা আমিনুল ইসলাম একটি কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে আমার মেয়েকেসহ পরিবারের ৭জনকে আসামী মামলা করেছে। তারা মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এছাড়া আমার মেয়েকে হত্যা করবে বলে বলে বেড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রহিম বলেন, ঘটনা সত্য। মেয়ের বয়স কম বিধায় আমি একটি আপোসনামা করে দিয়েছি। পরে দুই পক্ষই কোর্টে মামলা করেছে।