বিলাইছড়িতে চলছে শারদীয় দূর্গা পূজার প্রস্তুতি

92

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়িঃ-সনাতন ধর্মালম্বী (ধর্মাবলম্বীদের) সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। আর এই দূর্গোৎসব উপলক্ষে বিলাইছড়ি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিরাজ করছে সাজ শজ রব।
আগামী ১১ অক্টোবর সোমবার ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হবে দূর্গাপূজা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস দুষ্টের দমন শিষ্টের পালনের দেবী দূর্গা স্বর্গ থেকে আগমন ঘটেছিল মর্ত্যলোকে। এরই ধারাবাহিকতায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রতিবছর শারদীয় দূর্গাপূজা পালন করে।
এই উপলক্ষে বিলাইছড়ি উপজেলার প্রায় প্রতিটি মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরি শিল্পীরা। কাশফোটা ও শিউলি শরতে শারদীয় দূর্গোৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে মন্দিরগুলোতে চলছে দূর্গোপূজার প্রস্তুতি। দেবীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ সব বয়সের মানুষের শারদীয় দূর্গোৎসবকে স্বার্থক করতে প্রহর গুনছে প্রতিটি পূজা মন্ডপে।
এইসব বিষয়ে বিলাইছড়ি উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটি সভাপতি জনি চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক তপন কান্তি দে জানান, এবারে প্রতিমা বা মূর্তি তৈরিতে ৩৫০০০০ টাকা বাজেট করা হয়।
প্রশান্ত ভট্টাচার্যসহ মোট চারজন সুনিপুণ শিল্পী বা দক্ষ কারিগর তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। পূজা সময় যতই ঘনিয়ে আসছে তত দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে চলছে।
তেমনি ভাবে বিলাইছড়ি উপজেলার বাজারস্থ পূজা মন্দিরে দেখা যায়, প্রতিমার তৈরি কাজ প্রায় শেষ। শিল্পীর সুনিপুণ হাতের ছোয়াতে কৃত্রিম জীবন পাচ্ছে মা দূর্গা, লক্ষী, স্বরসত্বী, কার্তিক ও গণেশ।
উপজেলা কালিমন্দির কমপ্লেক্সে দূর্গা পূজা উৎযাপন কমিটি সভাপতি আরো জানান, এবারে দেবী দূর্গার আগমন হবে ঘোড়ায় আর প্রস্থান হবে দোলায় চড়ে। তিনি জানান, আমরা উৎসবমুখর পরিবেশে উৎসব পালন করি। যা প্রশাসন আমাদের যথেষ্ট সাহায্য করে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গোপূজা শুরু হবে ১১ অক্টোবর আর ১৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জন মধ্যদিয়ে সমাপ্তি হবে দূর্গোৎসব।