বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ঢেঁকি

216

সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়িঃ-বিলুপ্তির পথে ঢেঁকি। তাই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ঢেঁকিকে বলা বলা হয়। ঢেঁকি এক সময় মানুষের প্রায় প্রতিটি ঘরে ছাঁদের নিচে থাকতো বা দেখা যেত। বর্তমানে কাল বিবর্তন ও সময় পরিবর্তনের ফলে এখন আর এগুলো দেখা যায় না।
ঢেঁকি কি:-ধান ভানা বা শস্যকাটার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র বিশেষ। প্রাচীনকাল থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে ঢেঁকির ব্যবহার হয়ে আসছে। ঢেঁকির দ্বারা চাউলের ছাতু, মাসকালাই ডাল, হলুদ গুঁড়া ইত্যাদি তৈরি করা হয় ভেঙ্গে, ধাড়ী ঢেঁকি হওয়া, গুণহীন বুদ্ধির ঢেঁকি। ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে-মন্দ অদৃষ্টের পরিবর্তন হয়না। একটি লম্বা গাছ দিয়ে তৈরি করা একদিকে ছোট অন্যদিকে মোটা দুইদিকে ছিদ্র করে মানুষ একদিকে ভর দিয়ে ধান ভানে এই ঢেঁকি দিয়ে।
আবার ধান থেকে চাউল বের করা ছাড়াও চাউলকে গুঁড়ো বা পাউডার বানিয়ে পিঠা বা নাস্তা বানানো উপযোগী করে এই ঢেঁকি। কিন্তু একটি রাইস মিল দিয়ে দুই ধরনের চাউল এবং চাউলের গুড়ো করতে পারে না।
ঢেঁকির প্রকার ভেট:-সাধারণত দুই ধরনের দেখা যায়। ঢেঁকি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, মারমাদের প্রায় একই রকমের আর ত্রিপুরা, ম্রো, পাংখোয়া ও অন্যান্য সম্প্রদায়ে এক এক রকম, বাঙালিদের আরেক রকম। ছোট-বড় বিভিন্ন আকার-ধরন থাকে।
বর্তমানে ডিজিটাল যুগে রাইস মিল্ আবিষ্কার হওয়ার কারণে মানুষ ঢেঁকির ব্যবহার প্রয়োজন বলে মনে না করে কাল বিবর্তনের বই-পুস্তক, জাদুঘর ও পার্ক ছাড়া সহজেই দেখা যায় না।
হয়তো আজ-কাল শহরে ছেলে-মেয়েরা হঠাৎ নাও ছিনতে পারেন। একদম প্রত্যন্ত অঞ্চলে কিছু ঢেঁকির প্রচলন থাকলেও, নেই বলতে চলে গ্রামে, গঞ্জে ও শহরে।