পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শনে চেয়ারম্যান পাহাড় কাটা সত্যতা পাওয়া গেছে

190

থানচি প্রতিনিধিঃ-বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরে পরিদর্শক মোঃ আবদুল সালাম বলেছেন, বান্দরবানে থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজস্ব জমিতে পরিবেশ অধিদপ্তরে অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটা সত্যতা পাওয়া গেছে। অনুমোদনহীন পাহাড় কাটা ও মাটি বিক্রি করায় পরিবেশে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সম্ভাবনা প্রতিয়মান হয়। সরকারি আইনে কোন প্রকার পাহাড় কাটা নিয়ম নেই। পাহাড় কাটা আইনগত শাস্তিযোগ্য অপরাধ সুতরাং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের বলে পরিদর্শনে শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদে উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুইদিনের বিভিন্ন জাতীয় আঞ্চলিক গনমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে ভিক্তিতে অধিদপ্তরে উর্ধতন কর্তৃপক্ষে নজরে আসে। পরিবেশ অধিদপ্তরে কর্তৃপক্ষে তদন্ত জন্য আমাকে নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বান্দরবান জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরে পরিদর্শক মোঃ আবদুল সালাম সরেজমিনে পরিদর্শনে উল্লেখিত স্থানে পরিদর্শনে যান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি পাহাড় কাটা বিষয়টি সত্যতা পাওয়া যায়। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে পাহাড় কেটে মাটি স্থানীয় ইট ভাটা বিক্রি করছেন এমন কথা সত্যতা পাওয়া যায়নি। একই এলাকা থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদে পাশে স্থানীয় এনজিও সংস্থা হিউম্যানেটারিয়ান ফাউন্ডেশান এর একটি বহুতল ভবন নির্মান কাজ চলমান সেখানে মেঝে মাটি দেয়ার জন্য তাদের বিক্রি করা হয়েছিল। তিনি বলেন, আমাকে সেখানে অবস্থান করার স্থানীয়রা বলছে প্রায় ৪শত ডাম্পার (ট্রাক) গাড়ি করে মাটি নেয়া হয়েছে প্রতি গাড়িতে ১ হাজার ২ শত টাকা করে বিক্রি করার সত্যতা পাওয়া গিয়েছে।
আবদুল সালাম বলেন, পরিবেশে ক্ষতিকারক হিসেবে আমার প্রতিবেদনটি আমাদের অধিদপ্তরে চট্টগ্রামে আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ মফিদুল আলম দেখভাল করবেন। এই সময় উপজেরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অনুপম মারমা, সহ সভাপতি রেমবো ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের আপন ছোট ভাই থোয়াইপ্রুঅং মারমা, থানচি উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অনুপম মারমাকে যে কোন মুহুর্তে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তার নিজস্ব সামাজিক মাধ্যমে শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে একটি স্টেটাস বলা হয়েছে। বর্তমানে চেয়ারম্যান ও তার ছোট ভাইয়ের প্রাণনাশের হুমকিতে থানচি উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি অনুপম মারমা জীবন সংকটাপন্ন রয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান।
উল্লেখ্য, গত জুন জুলাই আগষ্ট তিন মাস ব্যাপী বৃষ্টিতে খন্দ খন্দ ভাবে দুইটি স্কেভেটোর (ভারী যন্ত্র) দিয়ে পাহাড় কাটছিল। পাহাড়টি থানচি বাস ষ্টেশন হতে আমতলী পাড়া যাওয়ার রাস্তায় পাশে অবস্থান। একই স্থানে ২০১৭ সালে থানচি কলেজ স্থাপিত হয়েছে। তাছাড়া থানচি কলেজ সদর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আশে পাশে একটি পাড়া ও স্থাপিত হয় ২০১৯-২০ সালে পাড়াটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ৩৬০ নং কোয়াইক্ষ্যং মৌজা হেডম্যান মাংসার ম্রো, ৩৬২ নং থানচি মৌজা হেডম্যান হ্লাফসু মারমা উপস্থিতিতে বিজ্ঞানি মংসানু পাড়া হিসেবে নাম করন করা হয়েছিল।