নানিয়ারচরে চাষিদেরকে সারের চাহিদা মেটাতে পারছেনা ডিলাররাঃ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে চাষিরা

113

নানিয়ারচর প্রতিনিধিঃ-রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় স্থানীয় চাষীরা ডিলারদের কাছ থেকে চাহিদার তুলনায় সার পাচ্ছে না। এতে করে ফসলের জমিতে ইউরিয়া সারের ব্যবহার সংকটে পড়েছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সরজমিনে গিয়ে চাষীদের মতামত নিয়ে জানা যায়, ডিলারের কাছ থেকে সার কিনতে গেলে প্রয়োজন মত সার না পাওয়ায় নানিয়ারচরের বাইরে গিয়ে চড়া দামে সার কিনতে হয় চাষিদের। আবার অনেকে চড়া দামে সার কিনতে না পারায় কৃষি কাজে পর্যাপ্ত পরিমাণে সার ব্যাবহার করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয় চাষি মোঃ জিয়াউল হক ও নুর মোহাম্মদ জানান, নানিয়ারচর, বুড়িঘাট, ঘিলাছড়ি ও বেতছড়ি বাজারে সারের পর্যাপ্ততা না থাকায় মহালছড়ি, রানীরহাট ও চট্টগ্রামসহ বাইরের বিভিন্ন বাজার থেকে চড়া দামে চাষিরা ক্রয় করতে হচ্ছে সার।
তারা আরো জানান, এলাকার চাষিদের যে পরিমান সার প্রয়োজন ডিলারের মাধ্যমে আমরা তা পাচ্ছিনা। এতে করে সময়মত সার দিতে না পারায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। স্থানীয়ভাবে সরকারী নির্ধারিত মূল্যে সার পেলে আমরা উপকৃত হবো বলে জানান তারা।
বিষয়টি নিয়ে বিসি আই সি সার ডিলার, নানিয়ারচর উপজেলার ৩নং বুড়িঘাট ইউনিয়ন ও ২নং নানিয়ারচর সদরের (অতিরিক্ত) দায়িত্ব প্রাপ্ত স্বপন দেবনাথ জানান, আমি চলতি বছর জানুয়ারি হতে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সার পেয়েছি দুই ইউনিয়নে মোট ২০৭ মেট্রিক টন। যেখানে চাষিদের চাহিদা পূরনে প্রতিমাসে প্রায় ১শত মেট্রিক টন সার লাগে এবং আনারসের মৌসুমে আরো বেশি প্রয়োজন হয়। সেখানে চাষিদের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছি। চলতি বছরে জানুয়ারি মাসে ২৫ মেট্রিক টন, ফেব্রুয়ারী মাসে ৩৪ মেট্রিক টন, মার্চ মাসে ৩৫ মেট্রিক টন, এপ্রিলে না থাকলেও মে মাসে ৫ মেট্রিক টন, জুন মাসে ৩৮ মেট্রিক টন, জুলাই মাসে ২০ মেট্রিক টন, আগষ্ট মাসে ৩০ মেট্রিক টন ও সেপ্টেম্বর ২০মেট্রিক টন সার পেয়েছি। এছাড়া চাষিদের সুবিধার্থে সংশ্লিষ্টদের কাছে আগামীতে এই ইউরিয়া সারের পরিমান বাড়িয়ে দেয়ার আহবান করেন তিনি।
এদিকে স্থানীরা জানায়, নানিয়ারচরে আনারস চাষের রাজধানী হওয়ায়, এই ফলের চাষ (মে থেকে সেপ্টেম্বর) মাসে হওয়ায় এই সময়ে সারের চাহিদা অন্য মাসের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে বেড়ে যায়।
নানিয়ারচর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিসার, মোঃ টিপু সুলতান জানায়, এই মৌসুমে সার প্রয়োগের পরিমান বেরে যাওয়ায় ডিলারদের কাছে চাষীরা একটু বেশি ভিড় জমায়। বিষয়টি নিয়ে কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা চলছে যাতে করে সারের বরাদ্দ বাড়িয়ে চাষিদের সারের সংকট মেটাতে।