সুজন কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়িঃ-পানির অপর নাম জীবন। পানি ছাড়া কোন প্রাণী বাঁচতে পারে না। তাই পাহাড়ে সুপেয় পানি পেতে ডিপ-টিউবওয়েলের বিকল্প নেই বলে জানান স্থানীয় পাড়াবাসী, জন প্রতিনিধি, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (পাবলিক হেল্থ) সহ ভুক্তভোগী সকলেই।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ২৫ বছরের এক গৃহিনী বলেন, আগে আমাদেরকে রিংওয়েল দেওয়া হয়েছিলো। তা ভরা মৌসুমে পানির সুবিধা পেলেও শুকনো মৌসুমে একেবারেই পান করা ও ব্যবহার করা পানি পর্যন্ত পাওয়া যায় না বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, আমরা বর্তমানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল থেকে ১টি ডিপ-টিউবওয়েল পেয়েছি, তা আমরা এখন শুকনো মৌসুম থেকে শুরু করে সব মৌসুমে অনবরত পান করার পানিসহ গোসল ও অন্যান্য কাজেও ব্যবহার করছি।
তিনি আরো জানান, ছড়ার পানি উৎস হতে আমরা অনেক দূরে। তাছাড়া গ্রীষ্মকালে খাল, বিল, নদ-নদী, ছড়া-ঝর্ণা, কুয়ার পানিও শুকিয়ে যায়। যার ফলে পান করার মত কোন পানি পাওয়া যায় না। দূর হতে সংগ্রহ করতে হলে কয়েক ঘণ্টা হেঁটে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
এইসব বিষয়ে বিলাইছড়ি উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বা পাবলিক হেল্থের দায়িত্ব প্রাপ্ত ফিল্ড অফিসার মোঃ আব্দুল জলিল বলেন, উপজেলায় ৪টি ইউনিয়নে মধ্যে বড়থলি বাদে ইতি পূর্বে ৩টি ইউনিয়নে বিলাইছড়ি, কেংড়াছড়ি ও ফারয়া ইউনিয়নে দূর্গম এলাকায় ৪০টি ডিপ টিউবয়েল বসানোর কাজ করা হয়েছে। বর্তমানে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ৭৮টি চলমান রয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, সবকটি ডিপ-টিউবওয়েলের গভীরতা ২২০ থেকে ৪০০ ফুট গভীরতার মধ্যেই করা যায়। বেশ কয়েকটা লেয়ার পেলেই বসানো সম্ভব বলে তিনি জানান।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে পানির স্তর নীচে নামায় রিংওয়েল দিয়ে ৫০-৬০ গভীরতায় সব সময় পানি পাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। তাছাড়া তিনি কাপ্তাই লেকের পানি শুকিয়ে যায় বলেও জানান। তাই পাহাড়ে সুপেয় পানি পেতে হলে ডিপ টিউবওয়েলের একমাত্র ভরসা।
উল্লেখ্য যে, বিগত ২০১৬-২০১৭ সালে সিআইপিডি এনজিও সংস্থা আলোকিত প্রকল্প নামে ইউএনডিপি’র অর্থায়নে ৩নং ফারুয়া ইউনিয়নে আলেখ্যং এলাকায় পাহাড়ে সুপেয় পানি পেতে পাথর কেটে ১৩টি ডিপ-টিউবওয়েল করায় এলাকাবাসীর ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন।