পার্বত্য চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগের পরিকল্পনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা

480

আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদঃ-পার্বত্য চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগে পরিকল্পনা গ্রহন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও রেল মন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের দীর্ঘ দিনের দাবী ছিলো পার্বত্য চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগের জন্য।
সাপ্তাহিক বনভূমি ও দৈনিক গিরিদর্পণ এইসব দাবী সংক্রান্ত কত সংবাদ যে ছাপা হয়েছে তার কোন হিসাব নেই। এছাড়াও দৈনিক ইত্তেফাকসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও রেডিও, টেলিভিশনের মাধ্যমে খবর প্রকাশ এবং প্রচারের ফলে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষিত হওয়ার কারণে আজকে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে রেল যোগাযোগের প্রকল্প নিয়েছেন। আশাকরি পর্য্যায়ক্রমে তিন পার্বত্য জেলায় জরুরী ভিত্তিতে রেল যোগাযোগের কাজ এগিয়ে যাবে।
পার্বত্যাঞ্চলে যোগাযোগের ব্যবস্থা এখনও আমুল পরিবর্তন হয়নি। যে কারণে পার্বত্যাঞ্চলের উৎপাদিত ফলমূল-তরিতরকারীসহ বাঁশ, গাছ পরিবহনে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধ্বসের ফলে যোগাযোগ বিছিন্ন থাকার কারণে কোটি কোটি টাকার ফলমূল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনিতেই হিমাগার না থাকাতে অনেক কাঁচামাল নষ্ট হয়ে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়।
আমাদের দাবী ছিলো প্রথমে হাটহাজারী থেকে রাঙ্গামাটি পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপন। ২য়ত: চট্টগ্রামের কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত। তৃতীয় ত: দোহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে গুমধুম পর্যন্ত, চতুর্থ ত: সাতকানিয়া থেকে বান্দরবান এবং অন্যান্য উপজেলার সাথে রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণ করা।
অন্যদিকে, নাজিরহাট রেরল ষ্টেশন থেকে মানিকছড়ি-মাটিরাঙ্গা-খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা, সাজেক ভ্যালী এবং বাঘাইছড়ি পর্যন্ত রেল যোগাযোগ উন্নীত করা। দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প প্রনয়ন করে রেল যোগাযোগ উন্নীত করতে হবে। পাহাড়ী এলাকায় এই কাজে সেনাবাহিনীকে সর্ম্পৃক্ত করতে হবে। এক একটা এলাকার সাথে রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা করলে ভালো হবে। প্রথমে যে কোন একটা জেলার সাথে শুরু করা দরকার।
পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রতি গভীর আস্থাশীল। তাই দ্রুত রেল যোগাযোগ উন্নয়নে সরকার সচেষ্ট থাকবেন। তবে যাতে দূর্ণীতিমুক্ত থাকে সেদিকে কড়া নজরদারীতে রাখতে হবে।