রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রতিক সময়ের করোনায় মারা গেছে ১১জন, সর্বমোট মৃত্যু-২৭

90

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-রাঙ্গামাটিতে হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এমনকি দুর্গম এলাকাগুলোতে করোনা গ্রাস করে চলেছে। আক্রান্তের দিক দিয়ে যা জাতীয় হারের চেয়ে বেশি। আক্রান্তের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে রাঙ্গামাটিতে করোনায় মারা গেছেন পাঁচজন। এর মধ্যে কাউখালী উপজেলায় একজন, লংগদু উপজেলায় একজন, বিলাইছড়ি উপজেলায় একজন, রাঙ্গামাটি সদরে একজন মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সকালে চট্টগ্রাম ন্যাশনাল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাপ্তাই উপজলোর বাসিন্দা বেবী আক্তার (৪০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ২০২০ সালে রাঙ্গামাটিতে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৬জন। চলতি বছরের শুরুতে করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা না বাড়লেও সম্প্রতি সময়ে রাঙ্গামাটিতে ১১জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। জেলায় সর্বমোট করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৭জন।
জেলায় করোনা আক্রান্তের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলার মধ্যে অন্যতম হলো- রাঙ্গামাটি সদর, কাউখালী উপজেলা, কাপ্তাই উপজেলা, লংগদু উপজেলা এবং বাঘাইছড়ি উপজেলা।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানানো হয়, মঙ্গলবার (৩ আগষ্ট) রাঙ্গামাটি পিসিআর ল্যাব ও এন্টিজিনায় ১৭৫জন নমুনা পরীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে ৫৫জনের পজেটিভ আসে। আক্রান্ত ৫৫ জনের মধ্যে রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার ২৮জন, কাপ্তাই ১৭, কাউখালী ৪জন, বিলাইছড়ি ১জন, বাঘাইছড়ি ২জন এবং লংগদু উপজেলার ৩জন বাসিন্দা রয়েছেন। সংক্রামণের হার ৩০.৮৬% পার্সেন্ট। রাঙ্গামাটিতে এই পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২,০৫১ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ২,২১৪ জন। রাঙ্গামাটিতে মোট মারা গেছেন ২৭জন। রাঙ্গামাটিতে এপর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করেছেন ১৭,২৮০ জন এর মধ্যে নেগেটিভ এসেছে ১৪,২৩০জনের।
রাঙ্গামাটির সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খীসা জানান, মানুষের অসর্তক চলাফেরা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এতে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবশ্যই চলতে হবে। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। আর ঘর থেকে জরুরী কাজের জন্য বের হলে অবশ্যই মাস্ক ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।
রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা: শওকত আকবর জানান, রাঙ্গামাটিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর বেশীর ভাগই হোম আইসোলশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তারা বাসায় আলাদা ভাবে চিকিৎসা নেয়ার কথা থাকলেও পরিবারের সাথে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন এতে পরিবারের অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়া বেশীর ভাগ রোগী বাসায় থাকছেন না, বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরাফিরা করে এতে সংক্রামণের ঝুঁকি বাড়ছে।
এদিকে, রাঙ্গামাটিতে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৪,০৮১জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১৯,১৩৭জন।