রাজভিলা ইসলামপুরে ভাঙ্গনের হুমকির মুখে বাজারসহ শতাধিক পরিবারঃ পার্বত্য মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

70

হারাধন কর্মকার, রাজস্থলীঃ-রাজস্থলী উপজেলা ইসলামপুর গাইন্দ্যা বাজারে পাশ ঘেষে বান্দরবান সদর উপজেলার রাজভিলা ইউনিয়নে ইসলামপুর এলাকায় বড় ধরনের ভাঙ্গনের হুমকির মুখে বাজারে দোকানদার ও শতাধিক পরিবার। ভাঙ্গনটিতে গত কয়েক বছর ধরে ৪-৫টি করে বসত ভিটা ভাঙ্গনে কবলে পড়তে হচ্ছে।
এতে করে রাজভিলা ইউনিয়নের বর্তমানে ৫নং ওয়ার্ডের ইসলামপুর গ্রামের প্রায় ১০-২০টি পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় দুই একর জমি। ইসলামপুর এলাকায় কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পানির স্রোতে ভাঙ্গনে একটি আধা পাকা ক্লাব ঘরসহ অর্ধশতাধিক বাড়ি ঘর, ফসলী জমি, রাস্তা-ঘাট, গাছপালা ভাঙ্গনের গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
এছাড়া ভাঙ্গনের হুমকিতে রয়েছে বাজার এলাকা, মসজিদসহ বাজারে পাশে বসবাসরত বাড়ি ঘর। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি, গবাদিপশু, ধান-চাল নিরাপদ স্থানে সড়িয়ে নেয়ার পাশাপাশি গাছপালা কেটে সড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ জন রাস্তা ও উচু স্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলোকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগন্য।
স্থানী প্রতিবন্ধী জামাল হোসেন জানান ভাঙ্গনের পাশের বসতভিটা ছাড়া আর কোন জায়গায় তাদের নেই। বাড়ির সীমানা হতে আর তার পাঁচ ফুট বাকি আছে ভাঙ্গনে। ছোট ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে চরম ঝুঁকিতে জীবন যাপন করছি। একটু বৃষ্টি হলেই ঘুম হারাম হয়েছে যায়। কখন না ধসে পড়ে বসত ভিটা।
নদী ভাঙ্গনের শিকার, বেহুদা, হালিম মোল্লা, আবদুর ছালাম নয়ন, রফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের যা জায়গা-জমি ছিল সব ভাঙ্গনে ভেঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে। এখন আমাদের থাকার জন্য একটি ঘর উঠানোর জমিও নেই। আমরা ভিক্ষাও করতে পারছিনা অন্যের বাড়িতে কাজও করতে পারছিনা। মানবতার জীবন যাপন করছি।
বান্দরবান সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহেব আলী খোকা বলেন, বাজারের পাশে বসবাসরত পরিবারগুলো প্রতি বছর বর্ষা এলেই বসত ভিটা ও ঘরবাড়ি কোন ভাবেই ভাঙ্গন থেকে রেহাই পাচ্ছে না। শুধু তাই নয় আমাদের বসার ক্লাব ঘরটিও অর্ধেক ভাঙ্গনে পড়ে গেছে। তাই ভাঙ্গনটি রক্ষার্থে দ্রুত একটি আরসিসি ওয়াল নির্মানের জন্য আমাদের অভিভাবক পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
রাজভিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যাংপ্রু মারমার সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, স্থানীয়রা আমাকে বিষয়টি জানালে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার আমি নিজে পরিদর্শন করেছি। তরে বরাদ্দ সল্পতার কারনে ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প হাতে নিতে পারছিনা। এডিপি বরাদ্দ আসলেই দ্রুত ভাঙ্গন রোধে প্রকল্প হাতে নিবেন বলে জানান।