পৌনে ২ বছর পর খাগড়াছড়ি জেলা আ’লীগের কমিটি অনুমোদনঃ সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী

84

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ-অনুষ্ঠানের প্রায় পৌনে দুই বছর পর অবশেষে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। গত ১৭ জুলাই এ কমিটি অনুমোদ দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী।
২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন কাউন্সিলারদের মতামত নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপিকে সভাপতি, নির্মলেন্দু চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক ও দিদারুল আলম দিদারকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন।
অনুমোদিত খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম দফায় পূর্নাঙ্গ জেলা কমিটির তালিকা কেন্দ্রে জমা দেয়া হলেও তখন অনুমোদন দেয়া হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে ফের কমিটি জমা দেয়া হলে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে গত ১৭ জুলাই সেই কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা।
একটি সূত্র জানায়, সম্মেলনের পর কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির পক্ষের দেওয়া কমিটির পাল্টা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জেলা সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলমের নেতৃত্বে পৃথক একটি কমিটির প্রস্তাবনা কেন্দ্রে জমা দেয়া হয়। কিন্তু কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ জেলা সম্মেলনে নির্বাচিত সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ও সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরীর দেয়া কমিটির তালিকা অনুযায়ী ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ জেলা কমিটির অনুমোদন দিয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে এছাড়াও ফের জেষ্ঠ সহ-সভাপতি হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা। জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে আরো সহ-সভাপতি হয়েছেন, চাইথোঅং মারমা, কংজরী চৌধুরী, কল্যান মিত্র বড়ুয়া, ম্রাগ্য মারমা, এড. মহিউদ্দিন কবির বাবু, সমীর দত্ত চাকমা, মংক্যচিং চৌধুরী, সামছুল হক, তপন কান্তি।
কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন, এম এ জাব্বার, এড. আশুতোষ চাকমা, মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু। সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পেয়েছেন পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল এবং বন ও পরিবেশ সম্পাদক শওকত উল ইসলাম। নতুনভাবে পদ পেয়েছেন কৃষি বিষয়ক শুভমঙ্গল চাকমা, দপ্তর চন্দন দে, উপ-দপ্তর নুরুল আজম, ধর্ম বিষয়ক নুর হোসেন চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, শিক্ষা ও মানব সম্পদ অধ্যাপক নিলোৎপল খীসা, উপ প্রচারে কাজী রফিকুল ইসলাম মিন্টু। আগের পদেই রয়েছেন কোষাধ্যক্ষে গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, আইন বিষয়ক এড. রতন কুমার দে, তথ্য ও গবেষণায় রনজিৎ কুমার দে, সাংস্কৃতিকে শিব শংকর দেব, ত্রাণ ও সমাজ কল্যানে সালেহ আহমদ, মহিলা বিষয়ক শতরূপা চাকমা, প্রচার সম্পাদক ক্যজরী মারমা, শিল্প ও বাণিজ্য অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা (এস অনন্ত), মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক শফিউল আলম চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিষয়ক রূপম বড়ুয়া, শ্রম বিষয়ক কামাল পাটওয়ারী। যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক জুয়েল চাকমা।
কমিটিতে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি‘র ছেলে ভারতেশ্বর ত্রিপুরা এবং আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরীর ছেলে আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সভাপতি যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা ছেলে অপূর্ব ত্রিপুরা, মরহুম নুরনবী চৌধুরীর ছেলে শামীম চৌধুরীকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
এছাড়াও নতুনদের মধ্য হতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান শানে আলম, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি‘র ছেলে ভারতেশ্বর ত্রিপুরা ওরফে বাতু,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কৈলাস ত্রিপুরা, এড. নুরুল্লাহ হিরো, মনির আহম্মদ, জসিম উদ্দিন, উমেষ চাকমা, বাহার মিয়া, সতিশ চাকমা, জয়নাথ দেব, মো. শফিকুল ইসলাম, তাপস কুমার ত্রিপুরা, অনন্ত ত্রিপুরা, বরেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও আব্দুর রাজ্জাক।