লামায় বন্যায় মুক্তিযোদ্ধার বাড়ীসহ ভেঙ্গে গেছে ৪শত বসত ঘর, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

117

লামা প্রতিনিধিঃ-বান্দরবানের লামায় বন্যায় ভেঙ্গে গেছে চারশত বসত ঘর। তৎমধ্যে লামা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বীরমুক্তিযোদ্ধা অর্জুন শীলের ৪০বছরের বসত একটি ঘরটিও ভেঙ্গে গেছে।
জানা গেছে, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান নুনার ঝিরি খাল খনন করার পর একই বছরের বর্ষায় ঝিরির এ ভাঙ্গন শুরু হয়। গত দুই বছরে এ ঝিরির দুই পাড়ের ৫০টির অধিক বসত ঘর ভেঙ্গে গেছে। লামা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের হাসপাতাল পাড়ার অংশের মাতামূহুরী নদী থেকে নুনার ঝিরির তিন কিলোমিটার খাল খনন করা হয়। খাল খনন শেষে একই অর্থ বছরের বর্ষায় ঝিরিটির দুই পাড় ভেঙ্গতে শুরু করে।
ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা অর্জুন শীলের ছেলে রূপন চন্দ্র সুশীল বলেন, ঝিরি খননের ফলে ২০২০সাল থেকে ভাঙ্গন দেখা দেয়। ভাঙ্গনের ফলে গত বৃহস্পতিবারের বন্যায় ঝিরির পাড় থেকে ৩৫ফুট যায়গাসহ আমাদের ৪০বছরের বসতঘরটিও ভেঙ্গে যায়। বর্ষায় নুনারঝিরির দক্ষিণপাড় ব্যাপক ভাঙ্গনের কারণে আমাদের বসতঘরসহ পাশের আরো দশটি বসতঘর ৯০% বিলিন হওয়ার পথে এখন। ভাঙ্গন রোধে সরকারী ভাবে ছোট নুনারবিল ব্রীজ থেকে (ব্রীজের দক্ষিন পাড়) দেড়শত ফুট দৈর্ঘ্য একটি আরসিসি ওয়াল নির্মান করে দেওয়া হলে আমাদের বসতবাড়িসহ পাড়ার আরো দশটি বসতবাড়ি রক্ষা পাবে।
লামা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুদ্দিন বলেন, গত বছর থেকে ঝিরির ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা অর্জুন শীলের বাড়িটি। গত বৃহস্পতিবারের বন্যায় বাড়িটির অর্ধেক ঝিরির ধ্বসে ভেঙ্গে যায়। ভাঙ্গন রোধ করা না হলে বাড়িটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যাবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড গত দুই বছর আগে ঝিরি খননের পর থেকে এ ভাঙ্গন দেখা দেয়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাসবতবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মজনুর রহমান জানিয়েছেন, গত বুধবার ও বৃহস্পতিবারের বন্যায় উপজেলায় চারশত বসতঘর ভেঙ্গে গেছে। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তালিকা তৈরীর কাজ এখনো চলছে।
এ ব্যাপারে লামা পৌরসভার মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত অর্জুন শীলের বসতবাড়িসহ পৌরসভার প্রায় একশতেরর অধিক ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে। এ ছাড়া রাস্তাঘাটসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই নুনারঝিরির দুইপাড়া ভাঙ্গন প্রতিরোধ ব্যাবস্থা করা খুবই দরকার হয়ে পড়েছে।