রোয়াংছড়িতে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা আটক

101

রোয়াংছড়ি প্রতিনিধিঃ-বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ পিতা আপুইমং মারমা (৬৫) এক বৃদ্ধকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (৭জুলাই) বিকাল দিকে খবর পেয়ে ধর্ষণের অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অভিযান চালিয়ে ওয়াগয় পাড়া এলাকার থেকে আটক করা হয়। ভিকটিম ও নবজাতক মেয়ে সন্তানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম যখন ৩বছর বয়সের শিশু তখন ভিকটিমের মাকে ওই সৎ পিতা আপুইমং মারমা বিয়ে করেন। ওই মায়ে বিয়ের হওয়ার সুবাদে থোয়াইঅংগ্য পাড়া এলাকার খামার বাড়িতে সৎ বাবার সাথে বসবাস করে আসছিলেন। ভিকটিম কিশোরীর দিন দিন বড় হলে ধর্ষক বৃদ্ধ লোকটি সুকৌশলে পরিকল্পিত ভাবে দ্বিতীয় সংসারের থাকার দুই ভাইকে গত (২০২০ সালে) অক্টোবর মাসের প্রায় শেষে দিকে ঘর থেকে বিতাড়িত করে দেন এবং ভিকটিমের মাকেও অসুস্থ্য হওয়ায় চিকিৎসা করার নামে বাড়ি ছাড়া করেন। ওই সময় ফাঁকা ঘরে কেউ না থাকার অবস্থায় (১৫) বছর বয়সে কিশোরীর বৃদ্ধ সৎ পিতা লালসার স্বীকার হয়ে গর্ভবতী হন। ধর্ষিত হওয়ার পর ৯মাসে ব্যবধানের ভিকটিম কিশোরী গত ২রা জুলাই শুক্রবার ফুটফুটে এক মেয়ের সন্তান প্রসব করেন। বিবাহিত ছাড়া কিশোরী সন্তান প্রসব শুনে গ্রামবাসীদের মধ্যে সমালোচনা ঝড় সৃষ্টি হয়।
এব্যাপারে গ্রামে কারবারি ক্যোয়াইডংমং মারমা ভিকটিমের কাছে জানতে চাইলে সৎ বাবার ধর্ষিত হয়ে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করেন। এছাড়া ভিকটিমের মা বলেন আমার স্বামী আপুইমং মারমা আমাদেরকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে আমার ছোট মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। আমাদেরকে বাড়িতে আসতে দেননি। আসলে অশ্লীল ভাষা গালি গালাজ করে হুমকি ধামকি দিয়ে তাড়িয়ে দেন।
রোয়াংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: তৌহিদ কবির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে এক বৃদ্ধকে আটক করা হয়েছে। নবজাতক সন্তানসহ মাকে থানা নিয়ে আসার হয়েছে। তবে বৃদ্ধলোকটি শারীরিক অসুস্থবোধ হওয়ায় পুলিশের প্রহরায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থা রাখা আছে। আসামিকে শিগরিই কোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।