মাটিরাঙ্গায় আগুনে পুড়ে ছাই বসতবাড়ি ও দোকান ঘর, ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ৫০ লাখ টাকা

140

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ-আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার চার দোকান ও দুই বসতবাড়ি। শুক্রবার (১১ জুন) গভীর রাতে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেইটে এ অগ্নিকান্ডের এই ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় পঞ্চাশ লাখ টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে দাবি করেছেন দোকানীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্থ দোকানীরা জানান, গভীর রাতে সবাই যখন যার যার বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলো তখনই গভীর রাতে হঠাৎ করে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়ে থাকতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনের লেলিহান শিখায় সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত চার দোকানী।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানী মো. রুবেল হোসেন জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বাড়ি থেকে আসার আগেই আমার দোকানের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অগ্নিকান্ডে আগে তিল তিল করে গড়ে তোলা আমার দোকানের সব জিনিস পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার পক্ষে আর ঘুড়ে দাঁড়ানো সম্ভব হবেনা।
মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মিজানুর রহমান খোকন জানান, একটি ওষুধের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। মুর্হুতের মধ্যেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে যায় দুইটি বসতবাড়ি ও চারটি দোকান। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান পঞ্চাশ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
অগ্নিকান্ডের ঘটনার পরপরই খাগড়াছড়ি ও মাটিরাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসলেও ততক্ষনে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মাটিরাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার দীপক কান্তি বড়ুয়া বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে শুক্রবার গভীর রাতে সংগঠিত অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা শনিবার (১২ জুন) সকালে পরিদর্শন করেছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওযামী লীগের সভাপতি এম হুমায়ুন মোরশেদ খান, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মিজানুর রহমান খোকন। এসময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সান্তনা দিয়ে সবধরনের সহযোগিতা আশ্বাস দেন।