নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-রাঙ্গামাটি বরকল উপজেলার ভূষণছড়া গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ।
সোমবার (৩১ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সহ সভাপতি কাজি মোঃ জালোয়া, আমির মোঃ সাবের, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিক, মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোর্শেদা আক্তার, সদস্য মনিকা আক্তার, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সি. সহ-সভাপতি মো. হাবিব আজম, মামুন, তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৮৪ সালের ৩১ মে সংঘটিত পার্বত্য চট্টগ্রামের সবচেয়ে কলঙ্ক জনক অধ্যায় ভূষণছড়া গণহত্যা। আর ৩৭ বছর পরেও দিনটি ভুষনছড়াবাসীর জন্য আতঙ্কের একটি স্মৃতি। সেই কালো রাতে নিরাপরাধ ৫শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করে তৎকালীন উপজাতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদি সংগঠন “শান্তিবাহিনী”। একটি স্বাধীন দেশে এতোগুলো মানুষ নির্বিচারে হত্যার পরও এর বিচার না হওয়া বিশ্বের ইতিহাসের কোথাও নেই। আর এই দিনে এই হত্যাকান্ডের ৩৭ বছর অতিবাহিত হলেও বিচার না পাওয়ায় হতাশায় নিমজ্জিত বিচার প্রার্থীরা। উপার্জনক্ষমকে হারিয়ে পরিবারগুলো আজো অসহায়।
বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থানীয় রাজনৈতিক সশস্ত্র সংগঠনগুলোর দৌরাত্ম থেমে নেই। তাদের হাতে বাঙালীরা যেমন হত্যার শিকার হচ্ছে, তেমনি নিহত হচ্ছে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোর মানুষজন। পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের সকল জনগোষ্ঠীকে কোণঠাসা করে রেখেছে। তারা এখন পাহাড়ের সাধারণ মানুষের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক। কখন কার উপর তারা আক্রমন চালাবে তা নিয়ে আতঙ্কে থাকে প্রতিনিয়ত পাহাড়ের সাধারণ মানুষ।
তাই পার্বত্য এলাকায় শান্তি আনয়নের জন্য অবিলম্বে পাহাড়ে সকল হত্যাকান্ডের সুষ্ঠ বিচার, প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্প পূর্ণস্থাপনসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জোর দাবী জানান নেতৃবৃন্দরা।
উল্লেখ্য, নিহতের স্মরণে প্রতি বছর এই দিনটিতে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছে পাহাড়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলো।