কাপ্তাই লেকের অবৈধ দখল মুক্ত ও হ্রদ ড্রেজিংয়ের বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে-মোহাম্মদ মিজানুর রহমান

198

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-কাপ্তাই লেকের অবৈধ দখল মুক্ত ও হ্রদ ড্রেজিংয়ের বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, কাপ্তাই হ্রদের অবৈধ দখলদারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট বসানো সহ হ্রদ দখলকারীদের আইনের আওয়াতয় নিয়ে আসা হবে।
বুধবার (১৯ মে) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কাপ্তাই লেক দখল, দূষণমুক্ত, কাপ্তাই লেকের সীমানা নির্ধারণ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ড্রেজিং নিয়ে আলোচনা জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শিল্পী রানী রায়, নদী রক্ষা কমিটির সদস্য ও প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রুহুল আমিন,পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, মৎস্য কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমাতুজ জোহরা উপমাসহ স্থানীয় প্রিন্ট এন্ড ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
নদী রক্ষা কমিটির সদস্যরা বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে বিদায়ী জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদের আমলে নদী রক্ষা কমিটির সভায় যে সকল সিদ্ধান্ত হয়েছিল তা আজ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়নি। অনেকে আবেগ বশতঃ বলেছেন সভা সমাবেশ করে কি লাভ যদি তার বাস্তবায়ন না হয়। গত সভায় নদীর জীব বৈচিত্র রক্ষা, নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং উচ্ছেদ পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়। এসব বিষয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবায়ন হয়নি।
সভায় প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন ও মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, লেকের উপর যে সকল অবৈধ বিল্ডিং গড়ে তোলা হয়েছে সে গুলো ভেঙ্গে ফেলতে হবে। সেটা সরকারি হউক আর বেসরকারি হউক। লেক দখর রক্ষা করতে হলে নদী রক্ষা কমিটি জরুরী ভাবে লেকের সীমানা প্রাচীর চিহিৃত করতে হবে। অবৈধ স্থাপনা আর যে নতুন করে নির্মাণ করতে না পারে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। লেক ও উপজেলার নদীগুলো জরুরী ভাবে ড্রেজিংএর ব্যবস্থা করতে হবে। লেকটিকে কি ভাবে দূষণ মুক্ত রাখা যায় সে ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, গত মার্চ মাসে আমি এ জেলায় যোগদান করি। ইতি মধ্যে লেক বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে সেটা নিয়ে আলোচনা ও হয়েছে। আশা করছি প্রধানমন্ত্রী সারা দেবেন।আর লেক নিয়ে সকলের সমন্বয়ে আগামীতে কাজ করবো।