রামগড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি না সরিয়েই রাস্তা কার্পেটিং, পৌরসভা-পিডিবি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

107

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ-খাগড়াছড়ির রামগড় পৌর শহরের উপকন্ঠে টিএন্ডটি অফিস-মাস্টারপাড়া রাস্তার মাঝখানে বিদ্যুতের বৈদ্যুতিক পিলার (খুঁটি) রেখেই কার্পেটিংয়ের কাজ করেছে পৌরসভা। এতে এলাকাবাসীদের মাঝে নানা প্রশ্ন ও হাস্যকর হয়ে উঠেছে। আর বিদ্যুতের এল.টি লাইনের এই পিলারটি সরানোর ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগ ও পৌরসভা একে অপরকে দোষারোপ করছে।
জানা গেছে, নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে রামগড় পৌরসভা সম্প্রতি রাস্তাটির কার্পেটিংয়ের কাজ করে। কিন্তু কার্পেটিংয়ের কাজ করার আগে বৈদ্যুতিক পিলার অপসারণ না করে রাস্তা নির্মাণ করায় কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। আর যেসব যানবাহন চলাচল করছে তারা কোন পথে যাবে ভেবে পাচ্ছে না। এ নিয়ে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আলোচনা-সমালোচনা ঝড় বইছে।
জানা যায়, নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে রামগড় পৌরসভা টিএন্ডটি অফিস-মাস্টার পাড়া রাস্তাটি কার্পেটিংয়ের কাজের ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়। প্রায় ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। রাস্তার মাঝখানে পূর্বে থেকে থাকা একটি বৈদ্যুতিক পিলার (খুঁটি) অপসারণ না করেই কার্পেটিংয়ের কাজ করা হয়। এতে পথচারীরা যাতায়াত করতে পারলেও ছোট বড় কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। ফলে সরকারের বিপুল অর্থ ব্যয় করে নির্মিত এই রাস্তাটি পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারছে না এলাকাবাসী।
এদিকে রামগড় পৌরসভার উপকন্ঠে এবং বিদ্যুৎ অফিস হতে মাত্র প্রায় ২শ গজ দূরত্বে রাস্তাটির মাঝখানে বিদ্যুতের পিলার (খুঁটি) রেখেই কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করায় জনমনে নেতিবাচক মনোভাব হাস্যকরের সৃষ্টি হয়েছে। আর রাস্তা থেকে খুঁটি সরানো নিয়ে একে অপরকে দায়ী করে নিজের দায় এড়াচ্ছে পৌরসভা ও বিদ্যুৎ বিভাগ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি খাগড়াছড়ি রামগড় ফেনী সড়কের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। রাস্তা মাঝখানে খুঁটিটি থাকায় এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, মাইক্রোবাসসহ ছোট বড় কোন যানবাহনই চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারের বিপুল টাকায় নির্মিত রাস্তাটি জনকল্যাণে ব্যবহার উপযোগী করতে জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে, রামগড় পিডিপির আবাসিক প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ বলেন, বিদ্যুতের লাইনটি অনেক পুরানো। রাস্তা নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। দরকার ছিল বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে রাস্তা তৈরি করা। কিন্তু খুঁটি সরানোর জন্য পৌরসভা কিংবা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে কোন ধরনের চিঠিপত্র দেয়া হয়নি পিডিবিকে। তারা নিজেদের ইচ্ছামত রাস্তার কাজ করে গেছে।
এ ব্যাপারে রামগড় পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী সমর কান্তি মজুমদার বলেন, প্রকল্পের কাজ শুরু করার পূর্বেই ৮-৯ মাস আগে খুঁটিটি সরানোর জন্য রামগড় বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলীকে চিঠি দেয়া হয়। স্থানীয় কাউন্সিলর এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এটি সরানোর জন্য পিডিপির প্রকৌশলীকে মৌখিক ভাবেও অনুরোধ করা হয়েছিলো। কিন্তু পিডিবি কোন কর্ণপাতই করেনি। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে বিধায় বাধ্য হয়েই পিলারটি রেখে রাস্তার কাজ শেষ করা হয়েছে।