লকডাউনে প্রশাসনের সঙ্গে রাঙ্গামাটি শহরে একমাত্র বাহন সিএনজি’র লুকোচুরি, যাত্রীদের দূর্ভোগ চরমে

309

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-করোনাকালীন চলতি লকডাউনে রাঙ্গামাটির একমাত্র বাহন সিএনজি যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। সকাল থেকে সিএনজি অটোরিক্সা চলাচল করার কারণে স্থানীয় সাধারণ জনগণ নিজেদের প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়ে তাদের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করে থাকে। কিন্তু প্রশাসনের নিদের্শে হঠাৎ করে আবারো সিএনজি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে ঘর থেকে যারা প্রয়োজনে বেড় হন তাদের দূর্ভোগের সীমা থাকে না।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, এই লকডাউনে সিটি কর্পোরেশনগুলোতে গণপরিবহন চালু করা হয়েছে। আর শুক্রবার থেকে সারাদেশে শপিং মহলগুলো সরকারের নিদের্শনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাঙ্গামাটি শহরে একমাত্র বাহন সিএনজি চলাচলে প্রশাসন থেকে বাধা প্রদান করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা আরো বলেন, শহরে যদি সিএনজি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয় তা হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া প্রয়োজন। সকাল থেকে শহরে সিএনজি চলাচল করছে। আবার হঠাৎ করে সিএনজি চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আবার কিছু কিছু জায়গা সিএনজি চলাচল করছে আবার কিছু কিছু জায়গায় সিএনজি চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এটা কি ধরনের ভেলকি বাজি আমাদের বোধগম্য নয়। সরকারের দেয়া লকডাউন পুরোপুরি বাস্তবায়ন হোক এটা আমরাও চাই। তবে এভাবে রাঙ্গামাটি শহরে একমাত্র বাহন সিএনজিতে যাত্রীদের দূর্ভোগে হবো কেন। দেশের অন্যান্য স্থানে রিকশা টেম্পু সিএনজি অহরহ চলাচল করছে। আমাদের বেলায় এর ব্যতিক্রম কেন?
দেশের অন্যান্য স্থানের মতো রাঙ্গামাটিতে রিক্সা নাই টেম্পু নাই এবং সিএনজির ওপর নির্ভর করে পাহাড়ি শহরের যাত্রীদের চলাচল করতে হয়। জরুরী পণ্য সরবরাহের জন্য ট্রাক, মিনি ট্রাক ভ্যান গাড়ি, মাইক্রোবাস বিভিন্ন গাগি চলাচল করছে। কি রাত ১০ টার পরেও এবং ভোর ৪টা-৫টার দিকে ওইসব পণ্যবাহী গাড়ির নামে বিভিন্ন গাড়ি চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। এসব গাগিগুলো সারাদিন বিনা বাধায় চলাচল করছে। শুধুমাত্র সিএনজির ব্যাপারে কেন ব্যতিক্রম?
এভাবে এক জায়গাতে দুই রকম আইন কেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করে রাঙ্গামাটি শহরে সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হোক না হয় একমাত্র বাহন সিএনজি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে স্থানীয় জনগণের চলাচলের দূর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে আসার আহবান জানান ভুক্তভোগী জনগণ।