থানচি প্রতিনিধিঃ-কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস সংক্রমনে প্রতিরোধে কল্পের সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নের বান্দরবান থানচি উপজেলা প্রশাসনে প্রানপন চেষ্টা প্রশংসায় যুগিয়েছে।
এর লক্ষ্যে গত সোমবার হতে শুক্রবার পর্যন্ত উপজেলা তিন চারটি বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত, মাস্ক পড়ার নিশ্চিতকরন, মাস্ক বিতরন, স্যানিটাইজার ব্যবহার, হাত ধোয়া, করোনা ভেকসিন ডোজ গ্রহনসহ নানান ভাবে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন বান্দরবানে থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রথম শ্রেনির ম্যাজিষ্ট্রেট আতাউল গনি ওসমান। এ অভিযানে থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন আনোয়ার অংশ নেন।
প্রশাসনে সূত্রে জানান, সম্প্রতি লকডাউন চলাকালিন সময়ের সরকারের ঘোষিত লকডাউনের নির্দেশনা অমান্য করে দোকান পাঠের মাস্ক বিহীন ও হোটেল রেষ্টুরেন্ট গুলিতে ভিতরে খাবার পরিবেশন করার দায়ের থানচি ভাত ঘর রেষ্টুরেন্ট ইলিয়াস চৌধুরীকে ২ হাজার টাকা, মাস্ক না পড়ার সাতকানিয়া ফারমেন্সী মালিক মোসলেম উদ্দিনকে ২ হাজার, তরমুজ ব্যবসায়ীকে ২ হাজার টাকাসহ এই পর্যন্ত ১৪-১৫ হাজার টাকা জড়িমানা করা হয়েছে। সংক্রমকব্যাধী নির্মূল প্রতিরোধ (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৮-২৫ খ/২ মতে ভ্রাম্যমান আদালতে জড়িমানা করা হয়েছে।
থানচি বাজার পরিচালনা কমিটি সভাপতি স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রশাসনে এই উদ্যোগকে আমরা সমর্থন করি। এই মহামারি করোন ভাইরাস যদি পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়ে তা হলে চিকিৎসার অভাবে অনেকে মারা যেত। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এরপর পযাপ্ত পরিমানে অক্সিজেন ব্যবস্থা নেই, চিকিৎসক অপ্রতুল সুতারাং প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতকে আমরা পুরোপুরি সমর্থন করি।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনে থানচি উপজেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক কবি উমংসিং মারমা বলেন, নোভেল করোনা ভাইরাস টেকাতে সরকারের ঘোষিত লকডাউনকে স্বাগত জানান। এখন ও পাহাড়ে যোগাযোগ, চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিপূর্ন হয়নি সুতারাং করোনা ছোয়া লাগলে পুরো পাহাড়ে মানুষ চিকিৎসার অভাবে মরে যাবে। কিন্তু থানচি উপজেলা প্রশাসনে করোনা ভাইরাস ঠেকাতে এই উদ্যোগকে আমি পুর্ন সমর্থন করি।
সম্প্রতিক প্রশাসনে ভ্রাম্যমান আদালতে জড়িমানা কঠোর পদক্ষেপ অংশ নেন, থানচি থানা ওসি তদন্ত শামিন শেখ, এসআই সাওন, এ এসআই মিটুন দে, থানচি বাজার পরিচালনা কমিটি সভাপতি স্বপন কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন, প্রেসক্লাবের সভাপতি অনুপম মারমাসহ প্রশাসনের অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা।