তিন পার্বত্য জেলায় পানীয় জলের তীব্র সংকট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা খুবই জরুরী

515

আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদঃ-তিন পার্বত্য জেলায় পানীয় জলের তীব্র সংকট নিরসনে দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রম নিয়ে এগুতে হবে। তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। তা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রম নিয়ে এগুতে হবে।
বিশেষ করে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার কাপ্তাই, ওয়াগ্গা, চিৎমরম, রাজস্থলীর বাঙ্গালহালিয়া, কাউখালী উপজেলা, বাঘাইছড়ি, রোয়াংছড়ির সাংকিং পাড়া, খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালার সীমানা পাড়া, ন-মাইল, জোড়াব্রিজ, হাজাছড়া, রির্জাবছড়া এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পানির সমস্যা তীব্র ভাবে দেখা দিয়েছে।
এটা নতুন কোন ঘটনা নয়। প্রতিবছর এধরণের সমস্যা দেখা দেয়। এবার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করছে। স্থানীয় এনজিও গ্রীনহীল কিছু কিছু এলাকায় পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা করছিল। বর্তমান অবস্থায় কিছু করেছে কিনা জানা যায়নি।
প্রতি বছর শুকনো মৌসুমে পাহাড়ের সব ছড়া যখন শুকিয়ে যায় এবং হ্রদের পানি যখন নিচে নেমে যায় তখন পানির তীব্র সমস্যা প্রবল আকার ধারণ করে।
ইউএনডিপিসহ অন্যান্য এনজিওগুলো অন্য কর্মসূচী কমিয়ে পাবর্ত্য চট্টগ্রামে পানি সরবরাহের কাজে নিয়োজিত থাকলে সমস্যা কিছুটা হলেও লাগব হতো। সব চাইতে মারাত্মক আকার ধারন করেছে রোয়াংছড়ি উপজেলার সাংকিং খুমীপাড়ায়। সেখানকার অধিবাসিরা গ্রামছেড়ে অনত্র যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে। বাঘাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৩/৪ মাইল থেকে পানি এনে ব্যবহার করছে।
খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলার সদরে ৩নং ওর্য়াডের তুন্দ্রিলাপাড়া বৌদ্ধ বিহারে ১ হাজার মিটার দূর থেকে পানি এনে ব্যবহার করতেছে অনেক কষ্ট করে। দীঘিনালা উপজেলার ৪টি পাড়ায় দীঘিনালা সেনা জোন পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করলে সেখানকার জনগণের কিছুটা সমস্যা লাঘব হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী সংস্থা এবং এনজিও কর্তৃপক্ষ হাজার হাজার কোটি টাকা উন্নয়নের নামে খরছ করতেছে। বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে যে, জনগণের উপকারে আসেনা। এই ধরণের অনেক প্রকল্প নিয়ে ৯/৬ করতেছে। ঐসব প্রকল্পগুলোর বিষয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। হাজার হাজার কোটি টাকা পানিতে ফেলে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জণগণের কাজে লাগে সেসব প্রকল্প নিয়ে কাজ করলে জণগণ উপকৃত হত।
পানি সরবরাহের জন্য টিউবওয়েল ও গভির নলকূপ প্রকল্পগুলো নিয়ে ব্যপক তদন্ত হওয়া দরকার। অন্যান্য সমস্যাগুলোর সাথে পানি সমস্যার দিকে জোর দিতে হবে। তাহলেই জণগণের উপরে আসবে। অহেতুক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প হাতে নেয়া থেকে বিরত থাকা দরকার।