পার্বত্য চট্টগ্রামে জেএসএস’র আঞ্চলিক রাজনীতির প্রবণতায় আওয়ামীলীগের বড় চ্যালেঞ্জ: দীপংকর তালুকদার এমপি

রাজস্থলী উপজেলা আওয়ামী লীগের কর্মী সভায়

785

শাহ আলম, পাহাড়ের আলো ডট কম, রাঙামাটি: বাংলাদেশ ও আওয়ামীলীগ সংগঠনের বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, সারাদেশের ন্যায় বাংলাদেশ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আওয়ামীলীগ সংগঠনের বিরুদ্ধে একটি কুচত্রী মহলের নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে ও ষড়যন্ত্রেও ধারা অব্যাহত রয়েছে। তাই দেশ ও দলকে বাঁচাতে দলের নেতাকর্মীদের সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার কোন বিকল্প নেই। দলের মধ্যে কাদা-ছুড়াছুড়ি ও বিবেদ সৃষ্টি না করে নেতাকর্মীদের ঐক্য গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) বিকাল ৪টায় রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সারাদেশসহ পাহাড়েও সাম্প্রদায়িকতার ভুল বার্তা নিয়ে অনেকে রাজনীতি করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা গণমাধ্যমে লক্ষ্য করেছি যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে নারীরা বঞ্চিত হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমতি (জেএসএস) এর এমন অভিযোগ সত্য নয়। নারীর অধিকার শুধু মাত্র কি শান্তির কারণে চুক্তিতে সংরক্ষিত হবে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সারা বিশ্বে নারীরা যেখানে বলছে আমরা সমঅধিকার চাই, সমমূল্যায়ন চাই। সুতরাং সমমূল্যায়ন কিংবা অধিকার বৈশ্বিক। সারাদেশে যদি নারীরা মূল্যায়ন না পায় তাহলে আমরাও পাবো না। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমতির নেতারা বলছে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে নারীরা অধিকার পাচ্ছে না। এখানের জনসংহতি সমিতির আঞ্চলিকতা নিয়ে রাজনীতি করার একটি প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে জেএসএস’র আঞ্চলিক রাজনীতির প্রবণতায় আওয়ামীলীগের বড় চ্যালেঞ্জ। তারা চাই না জাতীয় রাজনীতির মূলধারা পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশ করুক। তারই অংশ হিসেবে পাহাড়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডে নানভাবে বাধা সৃষ্টি করে। কিন্তু আমরা তাদের এসব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ণ হয়েছি। আমরা মনে করি, পার্বত্য চট্টগ্রামের সব ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর বিকাশ, ঐহিত্যসহ তাদরে সমস্থ কিছু সংরক্ষণের জন্য একটি ভালো সরকার দরকার। আর সেই সরকার হলো আওয়ামীলী। কারণ আওয়ামীলীগ জনগণের দল।

রাজস্থলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উবাচ মারমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পুচিংমং মারমার সঞ্চালনায় কর্মী সভায় রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুল হক, দপ্তর সম্পাদক রফিক তালুকদার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হানিফ, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ, সদস্য সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, রাজস্থলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পুলক বড়ুয়া, রাঙামাটি জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি শহীদুজ্জামান মহসীন রোমান, রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচিং মারমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য নিউচিং মারমা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আসন্ন আগামী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা আহবান জানান তিনি।