সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হবে-সিভিল সার্জন

136

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ-খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সিভিল সার্জন ডা. নূপুর কান্তি দাশ বলেছেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি দুর্নীতিমুক্ত এবং স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিনি বলেন, অনেক সীমাবদ্ধতার মাঝেও করোনা মোকাবেলায় খাগড়াছড়ি জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ বেশ সফলতা দেখিয়েছে, খাগড়াছড়ির স্বাস্থ্য বিভাগের সক্ষমতা পূর্বের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরো বলেন, সনাক-টিআইবির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য সেবা মানোন্নয়নে সহায়তা প্রদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, সনাক-টিআইবি কর্তৃক উপস্থাপিত অনুসরনীয় সুপারিশ সমূহ বাস্তবায়নের জন্য জেলা বা উপজেলা লেভেলে নির্দেশনা সংবলিত চিঠিইস্যু করা হবে, আগামীতে টিআইবির সহযোগিতা নিয়ে হাসপাতালগুলোতে গণশুনানী আয়োজনে চেষ্টা করা হবে এবং কোথায় কোথায় আমাদের গ্যাপ আছে তা চিহ্নিত করার মাধ্যমে চেক লিস্ট তৈরী করে সেগুলো সমাধানের জন্য যদি চেষ্টা করি তাহলে স্বাস্থ্য সেবায় জবাবদিহিতা তৈরী হবেএবং সেবার মানউন্নয়ন করা সম্ভব হবে।
তিনি মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)-টিআইবি খাগড়াছড়ি কর্তৃক আয়োজিত “স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে করণীয় ”শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
সনাক-টিআইবি খাগড়াছড়ির সভাপতি প্রফেসর বোধিসত্ত্ব দেওয়ান এর সভাপতিত্বে ও সনাকএর স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির আহবায়ক সাংবাদিক জহুরুল আলম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, টিআইবি’র সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাজী শফিকুর রহমান এবং বিভিন্ন উপজেলা থেকে অংশ গ্রহণ কারি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাবৃন্দ। আলোচনা সভায় “স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে করণীয়” বিষয়ক একটি মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন প্রদান করেন টিআইবি’র চট্টগ্রাম ক্লাস্টারের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো.জসিম উদ্দিন।
আলোচনাসভায় অংশগ্রহণ কারি বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাবৃন্দ বলেন, স্বাস্থ্য সেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে, তথ্য বোর্ড ও সিটিজেন চার্টার স্থাপন, সেবার মূল্য তালিকা স্থাপন, এম আর ভিজিট সময়নির্ধারন করে নোটিশ জারি, ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার তৈরী ইত্যাদি। আলোচনাসভায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ হাসপাতালগুলোর বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে বলেন, পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ দেয়া হলে হাসপাতাল গুলোর সেবার মান আরো অনেক বেশী উন্নত হবে। অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ৮টি উপজেলা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাবৃন্দ, সনাক, টিআইবি, স্বজন, ইয়েস ও ইয়েস ফ্রেন্ডস সদস্যবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার লোক অংশ গ্রহণ করেন।