ডেস্ক রিপোর্টঃ-অভিযানকালে অস্ত্রসহ আসামি ধরে সাহসিকতার অনন্য নজির গড়েছিলেন আনসার সদস্য রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার গুলশাখালীর বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪১তম জাতীয় সমাবেশ-২০২১ উপলক্ষে তারই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি।
সশস্ত্র অপরাধী ধরতে গিয়ে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইল শফিপুর আনসার একাডেমিতে আয়োজিত এক সমাবেশে তাকে সম্মানজনক এই পদক পরিয়ে দেন। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মানি হিসেবে এক লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন আনসার শফিকের হাতে।
সম্মানজনক পদকপ্রাপ্ত আনসার সদস্য শফিকুল ইসলামের বাড়ি রাঙ্গামাটি লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের যুবলক্ষী পাড়ায়। বর্তমানে তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুর থানায় আনসার সদস্য হিসেবে কমর্রত আছেন।
পদক পেয়ে শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি অত্যন্ত খুশি। তবে যখন সন্ত্রাসী ইব্রাহিম চৌধুরীর উপর লাফিয়ে পড়েছিলাম, তখন এসব চিন্তা ভাবনা মাথায় ছিল না। সে সময় একটাই চিন্তা ছিল, যেভাবেই হোক তার কাছে থাকা অস্ত্র কেড়ে নিতে হবে, না হয় ধরতে হবে। কারণ, তা না হলে আমরা বেঁচে ফিরতে পারতাম কিনা সন্দেহ।
উল্লেখ্য, রাজধানীর রায়ের বাজার এলাকায় ইব্রাহিম চৌধুরী নামের এক সন্ত্রাসীকে অস্ত্রসহ ধরেছিলেন ঢাকা মহানগর আনসারের (ডিএমএ) সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ইব্রাহিম চৌধুরীকে গ্রেফতারের জন্য বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর ২০২০) রাতে রায়ের বাজার পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন একটি বাড়িতে পুলিশের সঙ্গে অভিযানে যুক্ত ছিলেন শফিকুল।
এসময় মোহাম্মদপুর থানায় কমর্রত আনসার সদস্য শফিকুল পুলিশের উপ পরিদর্শক এএসআই উজ্জল মিয়ার সঙ্গে দায়িত্বে ছিলেন। আসামি ইব্রাহিমকে ধরতে তাঁরা রায়ের বাজার এলাকায় তাঁর বাসায় যান। কিন্তু বাড়িতে তালা দেওয়া দেখতে পেয়ে তাঁরা সেখানে ওঁত পেতে থাকেন।
পরে একজনকে ওই ঘরে ঢুকতে দেখে ভেতরে গিয়ে আরও কয়েকজনকে তাঁরা দেখতে পান। এ সময় বাসার অন্য ঘরগুলো তল্লাশি করতে গেলে ইব্রাহিম চৌধুরী পিস্তল বের করে গুলি চালান। ইব্রাহিম চৌধুরীর গুলি এএসআই উজ্জল মিয়ার হাঁটুতে লাগে। এ সময় সাথে থাকা পুলিশ সদস্যরা ঘরের বাইরে চলে গেলেও সাহসিকতা দেখিয়ে তিনি ইব্রাহিমের হাত থেকে পিস্তল কেড়ে নেন এবং তাঁকে আটক করতে সক্ষম হন।