ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্য সংরক্ষণে সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউটের মাধ্যমে কাজ করা হবে-রেমলিয়ানা পাংখোয়া

172

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে ক্ষৃদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউটের মাধ্যমে কাজ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়না পাংখোয়া। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ১১ টি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের সংস্কৃতিক ও ঐতিহ্য গুলোকে পুনরুদ্ধার করতে হবে। তাদেরকে বিলুপ্ত হতে দেয়া যাবে না। তাদের সংস্কৃতিগুলোকে ধরে রাখতে স্ব স্ব গোষ্ঠীর বয়োবৃদ্ধদের মাধ্যমে আমাদেরকে কাজ করার উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউটের কর্মকর্তাদের এই উদ্যোগ গুলো নিতে কাজ করার আহবান জানান।
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারী) রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের তরুন উদীয়মান সদস্য রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউটের দায়িত্ব প্রাপ্ত আহবায়ক রেমলিয়না পাংখোয়া ইনিষ্টিটিউটের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি একথা বলেন।
এ সময় রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনিস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রনেল চাকমা, সাংস্কৃতিক পরিচালক, সংগীত পরিচালক সুরেশ ত্রিপুরা, কর্মকর্তা তৃষা ত্রিপুরা, নৃত্য পরিচালক সুফলা তঞ্চঙ্গ্যা সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনেক নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে যারা তাদের সংস্কৃতিক কী সেটা ভুলে গেছে। কিন্তু আমরা তাদের সংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যকে হারিয়ে যেতে দেবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পার্বত্য অঞ্চলের অহংকার দীপংকর তালুকদার পাহাড়ের মানুষের কল্যালে কাজ করার জন্য আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী গুলো যদি না থাকে তাহলে বাংলাদেশ কখনোই অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ হবে না। তাই হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিক গুলোকে ফিরিয়ে আনতে আমাদের কাজ করতে হবে।
পরে তিনি রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জাদুঘরের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন।