বান্দরবান কেন্দ্রীয় রাজগুরু মহা বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব উদ্যাপিত

413

রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবানঃ-যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে এবছরে শেষ বারেরমত উদ্যাপিত হচ্ছে বান্দরবানে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব। বান্দরবানে মারমা, চাকমা, বড়ুয়াসহ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা আশ্বিণী পূর্ণিমার পর থেকে মাসব্যাপী এই কঠিন চীবর দানোৎসব পালন করে থাকেন।
২৯ নভেম্বর (রবিবার) বান্দরবান কেন্দ্রীয় রাজগুরু মহাবৌদ্ধ বিহারসহ বিভিন্ন বিহারগুলোতে শেষ দিনের মত দানোত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব উদ্যাপিত হচ্ছে। সকালে বোমাং সার্কেলের রাজা উচপ্রুসহ দায়ক-দায়িকারা শোভাযাত্রার মাধ্যমে বান্দরবান শহর প্রদক্ষীন করে কেন্দ্রীয় রাজগুরু মহাবৌদ্ধ বিহারে এসে সমবেত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবানের বিভিন্ন বিহারের অধ্যক্ষবৃন্দরা। এরপর পঞ্চশীল গ্রহণের মাধ্যমে ভিক্ষু সংঘের উদ্দেশ্যে চীবর দান করা হয়। দুপুরে ভিক্ষু সংঘকে ছোয়াই দান করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন বোমাং সার্কেলের রাজা উচপ্রু, রাজকুমার চহ্লাপ্রু জিমি, রাজকুমার মংওয়ে প্রু সহ বিভিন্ন বিহারের উপাসক-উপাসিকা ও দায়ক-দায়িকারা।
বিকালে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা পূর্ণ:রায় বিহারের সমবেত হয়ে মহা সংঘদান, অষ্টপরিস্কার দান, ধর্ম দেশনা শ্রবণ, হাজার প্রদীপ প্রজ্জলন এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করে চীবর দানোৎসবের ইতিটানেন। আগামী ৩০ নভেম্বর ভিক্ষু সংঘের মহাপিন্ড চারণ ও বিকালে ধর্ম দেশনার মাধ্যমে মাসব্যাপী এই মহা কঠিন চীবর দানের সমাপ্তি হবে।
মহাকারণিক গৌতম বুদ্ধের আমলে মহাপূর্ণ্যবতী নারী বিশাখা দেবী প্রথম কঠিন ব্রত নিয়ে এই চীবর দান করেছিলেন। সে থেকেই প্রতিবছর চিরাচরিত্র নিয়মানুসারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এই পূর্ণ্যানুষ্ঠান পালন করে আসছে।