বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

366

ডেস্ক রিপোর্টঃ-যমুনা নদীর ওপর নির্মিতব্য দেশের বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু রেল সেতু দেশের আভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (২৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ওই সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর সমান্তরালে ডাবল-লাইন ডুয়েল-গেজ বিশিষ্ট ৪.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মিত হতে যাচ্ছে।
এটি হতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় ডেডিকেটেড রেল সেতু। ২০২৪ সালের আগস্টে এ সেতুর নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এটি নির্মিত হলে হলে রেলের গতি বাড়বে, কমবে পরিচালন ব্যয়।
গোটা দেশকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিক, উন্নত ও বহুমূখী করতে চায় সরকার।’
রেলসহ সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি জানান, ‘এতে ত্বরান্বিত হবে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন।’
এসময় প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ করেন, ‘আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সব সরকার রেলের উন্নতি তো করেইনি, বরং নিয়ে গিয়েছিলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।’
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, জাপানি রাষ্ট্রদূত, দেশটির সহায়তা সংস্থা জাইকার প্রতিনিধিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা ইতিমধ্যে সেতুর প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে এবং মূল নির্মাণের কাজ আজ রবিবার থেকে শুরু হবে।
দুটি প্যাকেজের অধীনে নির্মিত হতে যাচ্ছে মূল সেতু। পূর্ব ও পশ্চিম অংশের নকশা ও অবকাঠামো কাজের জন্য যথাক্রমে ওবায়াশি-টোয়া জেএফই, জাপান এবং আইএইচআই-এসএমসিসি জেভি, জাপানের সঙ্গে দুটি পৃথক চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুসারে, চলতি বছরের জুলাইয়ে উভয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছে জমি হস্তান্তর করা হয়েছে।
নতুন সেতুর ওপর দিয়ে ব্রডগেজ লাইনে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার এবং মিটারগেজ লাইনটিতে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলতে সক্ষম হবে। এটি নির্মিত হলে ৮৮টি ট্রেন চলাচল করতে সক্ষম হবে।
সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। এর ব্যয়ের মধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) থেকে প্রকল্প সহায়তা হিসাবে আসবে ৭ হাজার ৭২৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা। বাকি ২ হাজার ৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারের তহবিল থেকে আসবে।