পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে সম্পূর্ণ সোলার বিদ্যুৎ এর আওতায় আনা হয়েছে, সাশ্রয় হচ্ছে ৭০ হাজার টাকা

345

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে সম্পূর্ণরূপে সোলার বিদ্যুৎ এর আওতায় আনা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ভবন বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে সোলার বিদ্যুৎ এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে। এতে করে বোর্ডের প্রতি মাসে প্রায় ৭০ হাজার টাকার বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে। বুধবার রাঙ্গামাটির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর পরিচালনা সভায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় এই প্রথম কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণরূপে সোলার বিদ্যুৎ আওতায় আনা হয়েছে। এর ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডই একটি “স্মাট অফিস” হিসেবে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের জনসংযোগ শাখার এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
পরিচালনা বোর্ডের সভায় উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য বাস্তবায়ন মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ১ কোটি টাকার ব্যয়ে বাস্তবায়িত পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর আওতাধীন জেলাসমূহের অফিস বিল্ডিং এ নবায়নযোগ্য শক্তি নির্ভর বিদ্যুৎ সরবরাহ শীর্ষক প্রকল্পটি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ে সোলার প্যানেল স্থাপনের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে সোলার বিদ্যুৎ এর মাধ্যমে চলে এবং প্রতি মাসে প্রায় ৭০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড রাঙ্গামাটির প্রধান কার্যালয়ের কর্ণফুলী সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয় ।
সভায় উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল আলম নিজামী, সদস্য সচিব ও সদস্য প্রশাসন আশীষ কুমার বড়–য়াসহ বোর্ডের অন্যান্য সদস্য, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকদ্বয়, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যগন ও বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ বোর্ডের উধর্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় রাঙ্গামাটির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন অবতরণ ঘাটের পাশে বোর্ডের নৌযান রাখার জন্য জেটি ঘাট নির্মাণ, তিন পার্বত্য জেলায় হেডম্যান কার্যালয় নির্মাণ ও মডেল পাড়াকেন্দ্র নির্মাণ, উঁচুভূমি বন্দোবস্তিকরণ প্রকল্প অগ্রগতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার মাস্টার প্লান তৈরী বিষয়ে আলোচনা স্থান পায়।
এছাড়া বোর্ডের গাভী পালন, বাঁশ প্রকল্প, উচ্চমূল্যের মসলা চাষ, কমলা ও মিশ্র ফল চাষ, তিন পার্বত্য জেলায় গ্রামীণ সড়ক ও পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, রাঙ্গামাটি বিভিন্ন উপজেলার গ্রামীণ সড়ক, খাগড়াছড়ি বিভিন্ন উপজেলার নেটওয়ার্ক ও মাস্টার ড্রেইন, সাংগু নদী সোনা খালের উপর ২টি ব্রীজ নির্মাণ, বান্দরবান রুমা-রোয়াংছড়ি সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের সকল প্রকল্প পরিচালক এবং নির্বাহী প্রকৌশলীগণ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।