পাঁচ উপজেলায় ওয়াটার এ্যাম্বুলেন্স ও হাইফ্লো অক্সিজেন সিস্টেম দিয়ে রাঙ্গামাটি হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হচ্ছে-বৃষ কেতু চাকমা

376

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাঙ্গামাটিঃ-রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের ৫০ টি বেডে হাইফ্লো অক্সিজেন সিস্টেম স্থাপন করে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় পর্যায় প্রতিরোধে হাসপাতালকে প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। আগাম প্রস্তুতি হিসাবে এ কাজে ব্যয় করা হচ্ছে ৫০ লক্ষ টাকা। এছাড়া রাঙ্গামাটির ৫ উপজেলায় ৫টি ওয়াটার এ্যাম্বুলেন্স প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) সকালে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে মাসিক সভায় পরিষদ চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পড়তে হবে এবং ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তিনি করোনার প্রতিরোধে সবাইকে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরুনো পরিহার করার আহ্বান জানান। জেলা পরিষদের জনসংযোগ শাখা থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা রাঙ্গামাটি জেলার করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, রাঙ্গামাটিতে সর্বশেষ (১৮ নভেম্বর পর্যন্ত) করোনা পজিটিভ আছেন ৯৮৫জন। ইতোমধ্যে ৯১৮জন সুস্থ হয়েছেন। মোট মৃত্যু ১৪জন। আক্রান্তের হার ১৯.৬২%, সুস্থতার হার ৯৩.২০% এবং মৃত্যুর হার ১.৪২%।
তিনি বলেন, বিগত ১৪দিনের (০৩ নভেম্বর ২০২০-১৭ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত) মধ্যে রাঙ্গামাটির ৬টি উপজেলায় (বাঘাইছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, লংগদু, রাজস্থলী) করোনায় আক্রান্ত হয়নি।
রাঙ্গামাটি পিসিআর ল্যাবে রোগী পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৭৯০টি। তার মধ্যে করোনা পজিটিভ এসেছে ৯৮৫ জনের।
পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম এর পরিচালনায় জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, সদস্য হাজী মুছা মাতব্বর, সদস্য অমিত চাকমা রাজু, সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সদস্য সান্তনা চাকমা, সদস্য থোয়াই চিং মারমা, সদস্য সাধন মনি চাকমা, সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা, সদস্য ত্রিদীব কান্তি দাশ, সদস্য মনোয়ারা আক্তার জাহান, স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা, পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া, জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা এবং হিসাব ও নিরীক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদুল আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।